আজ থেকে চলবে আরও ৬৫টি অতিরিক্ত স্টাফ স্পেশাল ট্রেন, মেট্রোয় ছাড় পাচ্ছেন সাংবাদিকরা

শিয়ালদহ এবং হাওড়া ডিভিশনে এই অতিরিক্ত ট্রেন চালানো হচ্ছে জরুরী পরিষেবা সঙ্গে যুক্ত কর্মচারীদের জন্য

Advertisement

Advertisement

আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে রাজ্যে লকডাউন। আর লকডাউনের বিধি-নিষেধের তালিকা হয়েছে কিছুটা পরিবর্তন। আগামী ১ জুলাই পর্যন্ত রাজ্যে কড়া বিধি নিষেধ জারি রাখতে চলেছে রাজ্য সরকার। আর তার পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের মুখ্যসচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদী এই বিধি-নিষেধের কিছু তালিকা পেশ করলেন। রাজ্য সরকার সরাসরি জানিয়ে দিয়েছে এই মুহূর্তে রাজ্যে কোন রকম ভাবেই ট্রেন চলছে না। সাধারণ মানুষ বর্তমানে লোকাল ট্রেন কিংবা মেট্রো এবং সরকারি ও বেসরকারি বাস পরিষেবা পাবেন না।

Advertisement

তবে স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চালানো হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই স্টাফ স্টেশনের ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে রাজ্য সরকার আজ থেকে। পূর্ব রেল সূত্রে খবর অনুযায়ী আজ থেকে শিয়ালদহ এবং হাওড়া ডিভিশনে মোট ৬৫টি অতিরিক্ত স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চালানো হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। অন্যদিকে, চালানো হবে স্পেশাল মেট্রো ট্রেন। আর এই স্পেশল মেট্রোতে তে উঠতে পারবেন সাংবাদিকরা। অন্যদিকে, ৬৫ অতিরিক্ত স্পেশাল ট্রেনের মধ্যে শিয়ালদহ ডিভিশনে ৪০টি ট্রেন এবং হাওড়া ডিভিশনে ২৫টি ট্রেন চালানো হবে। ফলে এবারে দুই ডিভিশনে ৪০৭টি স্পেশাল ট্রেন চালানো হবে।

Advertisement

এছাড়াও স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য স্পেশাল বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। পুরকর্মী, পুলিশকর্মী, নবান্ন এবং মহাকরণে যাতায়াত করা কর্মীদের জন্য অতিরিক্ত বাস চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। বেসরকারি বাসের ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য এবং বেসরকারি বাস সংগঠনগুলির মধ্যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। বাসের ভাড়া না বাড়ালে রাস্তায় নেমে আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়েছে বাস মালিক সংগঠন। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই বুধবার থেকে ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে সরকারি এবং বেসরকারি অফিস খোলার অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। যদিও কর্মীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে হবে অফিস কর্তৃপক্ষকে এই ব্যাপারটি পরিষ্কার করে দিয়েছে রাজ্য। এছাড়াও প্রতি শিফটে ৫০% কর্মী নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে আইটি সেক্টরে। এদের ক্ষেত্রেও বাসের বন্দোবস্ত করা বর্তমানে কোম্পানীগুলির জন্য একটু চাপের ব্যাপার।

Advertisement

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসার সঙ্গে সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় লকডাউন শুরু হয়েছিল গোটা দেশে। সেই সময় পূর্ব রেলওয়ে বাধ্য হয়ে লোকাল ট্রেন বন্ধ করে দেয়। কিন্তু যারা অত্যন্ত জরুরী পরিষেবা সঙ্গে যুক্ত তাদের ক্ষেত্রে লোকাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পূর্ব রেলওয়ে। স্বাস্থ্য, ব্যাংক, হাইকোর্ট এবং বিএসএনএল সহ কয়েকটি জরুরী পরিষেবা সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা এই ধরনের স্পেশাল ট্রেনে ওঠার অনুমতি পেয়েছেন। কিন্তু তারপরেই অস্বাভাবিক ভিড় হতে থাকায় রাজ্যের কাছে লোকাল ট্রেন চালু করার আবেদন নিয়ে এসেছিল পূর্ব রেলওয়ে। তবে রাজ্য সরকার এই আবেদনে কোন রকম সাড়া দেয়নি।

Recent Posts