সকালে শিব, বিকেলে বৌদিদের দুষ্টু ঠাকুরপো! দিন কেমন কাটছে ইন্দ্রজিৎ-এর?

Advertisement

Advertisement

কেয়া সেন : তার দর্শকরা খুবই কনফিউস। কারণ, বর্তমানে একাধারে তিনি উদার তবে লম্পট রাজা বিক্রম কেশর, অন্যদিকে ভীষণ অহংকারি ব্রিটিশ প্রোফেসর ওটেন। যার সারাক্ষন ঝামেলা লেগেই রয়েছে ছাত্র সুভাষের সঙ্গে। পর্দায় যেমনই থাকুন, বাস্তবে কিন্তু বেশ ডাউন-টু-আর্থ ইন্দ্রজিৎ। সকাল থেকে শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত তাই কথা বলেন নি, তবে রাতে নিজেই কল করলেন, আর সময়জ্ঞান ভুলে ফোনেই চললো আড্ডা।

Advertisement

কেমন চলছে দিন-কাল?

Advertisement

ইন্দ্রজিৎ – জাস্ট খুব ভালো, প্রতিমুহূর্তে এত ভিন্ন চরিত্রের জীবন বাঁচতে পারছি, পরিচালক-প্রযোজকরা আমায় চকো, ওটেন, রুপম, রাজা বিক্রম কেশর, এর মত চরিত্রে কাজ করার সুযোগ দিচ্ছেন, হাতে কোনো সময় নেই যে বেকার বসে থাকবো, এই ভাবেই বাঁচতে চাই।

Advertisement

একসঙ্গে মেগা, ওয়েব সিরিজের কাজ সামলাতে অসুবিধে হয় না?

ইন্দ্রজিৎ – এক্কেবারেই না। আমি একই দিনে সকালে শিব সেজে পার্বতীর দিকে তাকিয়ে যেমন সংলাপ বলেছি, তেমন বিকেলে ঠাকুরপো সেজে ঝুমা বৌদির সঙ্গে রোম্যান্স ও করেছি। আবার যেমন একাধারে আমি খুব অহংকারি ব্রিটিশ প্রোফেসর ওটেনের চরিত্রে কাজ করছি, তো দিনের অন্য একটি শিফটে আমি ডাক্তার অভ্র, বাবার কথায় যে দুবাই থেকে কলকাতায় এসেছে অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ করতে। তো রিল লাইফে প্রতিটি চরিত্র আমার কাছে পোশাকের মতো। যখন যেটা প্রয়োজন পড়েনি।

সিনেমায় সেভাবে খুব বেশি কাজ করছো না কেন?

ইন্দ্রজিৎ – পরিচালকেরা আমায় কাজ দিচ্ছেন না তাই। মায়ের বিয়ে, আবার একলা চলো, নেটওয়ার্ক -এর মতো ছবিতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি, আর ভবিষ্যতে ভালো চরিত্র পেলে আরও সিনেমায় কাজ করবো।

সিনেমা, সিরিয়াল, সিরিজ কোন প্ল্যাটফর্মে কাজ করা বেশি পছন্দের?

ইন্দ্রজিৎ – একটু অন্য ভাবে বলি? আমার নিজের বাড়ি, দিনের শেষে যেখানে ফিরতে চাই, সেই বাড়িই মেগা। আর বাড়ির মধ্যে নিজেই রোজগারে যত্ন করে বানানো ১টা ড্রয়িংরুম বা শৌখিন ব্যালকনি ওয়েব সিরিজ ও সিনেমা।

নতুন কোন চরিত্রে নিজেকে সাজাচ্ছেন?

ইন্দ্রজিৎ – এমনিতেই তো ১১ই নভেম্বরে “জি-ফাইভ”-এ আসছে “ভালোবাসার শহর” -এর ‘সায়রি’ যেখানে অনিন্দিতার বিপরীতে অভ্রর চরিত্রে রয়েছি। পাশাপাশি খুব শীঘ্রই “ভুট”-এ আসতে চলেছে “সৃজিত মুখোপাধ্যায়”-এর বহুরূপীয়া।

বাহ, তবে তো ব্যাক টু ব্যাক নতুন অবতারে পর্দায় ফেরার অপেক্ষা। শুভেচ্ছা রইলো

ইন্দ্রজিৎ – থ্যাংক ইউ।