সুশান্তকে কীভাবে খুন করা হয়েছে? পুরোটা জানালেন সুশান্তের প্রাক্তন অ্যাসিস্ট্যান্ট

Advertisement

Advertisement

সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যা কান্ড ঘিরে প্রথম থেকেই শুরু হয়েছে বিভিন্ন বিতর্ক। অনেকের দাবী ছিল এটি আত্মহত্যা নয় বরং পরিকল্পিত খুন। এবার তার মৃত্যুর রহস্য ঘিরে উঠে এসেছে আরও একটি তথ্য। তার প্রাক্তন অ্যাসিস্ট্যান্ট অঙ্কিত আচার্য যিনি ২০১৭ সালের জুলাই মাস থেকে ২০১৯ সালের আগস্ট পর্যন্ত তার সাথে কাজ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন সুশান্তের মৃত্যুর ঘটনা দেখে এটাই বোঝা যায় যে এটি আত্মহত্যা নয় বরং পরিকল্পিত খুন।

Advertisement

সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় তার মৃতদেহের ছবিগুলি। সেই ছবির কথা উল্লেখ করে অঙ্কিত বলেন সুশান্তের গলায় থাকা চিহ্নগুলি এটাই প্রমাণ করে যে তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। তার মতে সুশান্ত যদি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করতো তবে তার চোখগুলি বেরিয়ে আসতো, জিভ বেরিয়ে থাকতো এবং গলায় ‘U’ আকৃতির চিহ্ন হয়ে থাকতো। তিনি বলেন, “সুশান্ত ভাইয়ার শরীরে এসব কিছুই ছিল না। এটি অবশ্যই খুন।”

Advertisement

অন্যদিকে, পিঙ্কভিলায় দেওয়া একটি বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, সুশান্ত কে তার পোষ্যের গলার বেল্ট দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমি বলতে পারবো তার গলায় এটা কীসের দাগ। এটি হল তার পোষা কুকুরের বেল্টের দাগ। আমার কাছে তার মৃতদেহের ছবিগুলি রয়েছে যেখান থেকে এটাই বোঝা যাচ্ছে এই দাগ বেল্টের। অপরাধীরা তাকে খুন করতে ওই বেল্ট ব্যবহার করেছে।”

Advertisement

অন্য একটি সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অঙ্কিত বলেন সুশান্তের ব্যক্তিগত ডায়েরির কতগুলো পাতা পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি এও মনে করিয়ে দেন মুম্বাই পুলিশের আধিকারিকরা তার মৃত্যুর দিন সুশান্তের ওষুধ এবং ব্যক্তিগত ডায়েরি বান্দ্রার বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়েছিলেন। সুশান্ত তার আগামী দিনের সমস্ত কর্মসূচি তার ডাইরিতে লিখে রাখতেন। তার মধ্যে থাকতো বিভিন্ন মিটিং, শ্যুট এবং নিজস্ব চিন্তাভাবনর কথা।

প্রসঙ্গত, সুশান্ত আত্মহত্যা কাণ্ডে সম্প্রতি বিহার সরকার সিবিআই তদন্তের সুপারিশ দিয়েছেন। ইতিমধ্যে তা গ্রহণও করা হয়েছে সুপ্রিমকোর্টের তরফে। সিবিআই রিয়া চক্রবর্তী সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনা, প্রতারণা এবং সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেছে। অন্যদিকে ইডির তরফ থেকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে রিয়া চক্রবর্তীকে। আর্থিক লেনদেনের সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখছে ইডি।