ঠোঁটে ঠোঁট রেখে চুম্বন, করোনা-বিধি মেনেও কাছাকাছি এলেন উজান ও হিয়া

Advertisement

Advertisement

এক নতুন শুরুর ইঙ্গিত রেখে গেল জনপ্রিয় বাংলা ডেইলি সোপ ‘এখানে আকাশ নীল’। করোনা অতিমারীর কারণে বিপর্যস্ত টালিগঞ্জ ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রি। সম্প্রতি শুটিং শুরু হয়েছে দূরত্ব-বিধি মেনে। কিন্তু তার পরেও অনেক কলাকুশলী করোনার শিকার হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে ‘এখানে আকাশ নীল ‘-এর শেষ পর্বে উজান-হিয়ার ঘনিষ্ঠ দৃশ্য টালিগঞ্জ টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির সামনে প্রশ্নচিহ্ন ঝুলিয়ে দিয়েছে।

Advertisement

‘এখানে আকাশ নীল ‘-এর শেষ পর্বে উজান-হিয়া জুটির মিলন দেখানোর জন্য চিত্রনাট্য তৈরী করার সময় প্রযোজনা সংস্থার নির্দেশ ছিল,দৃশ্যটি যেন কোনোভাবেই কেঠো না লাগে।তাই চিত্রনাট্যে এই ধরনের দৃশ্য তৈরী করা হয়। এই দৃশ্যে উজান ও হিয়া কখনো পরস্পরকে কাছে টেনেছেন ,কখনো ঠোঁটে ঠোঁট রেখে চুম্বন করেছেন। চ্যানেল ও প্রযোজনা সংস্থার দাবি,শিল্পীদের অনুমতি নিয়েই এই দৃশ্যের শুটিং হয়েছে। শিল্পীদের একাংশের ধারণা ,দূরত্ব-বিধি মেনে শুটিং করতে গিয়ে অধিকাংশ দৃশ্যের অভিনয় স্বতঃস্ফূর্ততা হারাচ্ছে। এর ফলে দৃশ্যটি অনুভূতিহীন হয়ে দর্শক-হৃদয়কে ছুঁতে পারছে না।ফলে বিভিন্ন শোয়ের টিআরপি কমতে শুরু করেছে।

Advertisement

এমতাবস্থায় চ্যানেল এবং প্রযোজনা সংস্থার নির্দেশ অনুযায়ী এই দৃশ্য শুট করা হয়েছে,বলে জানান পরিচালক সীমান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এই দৃশ্য নিয়ে অসন্তোষ শুরু হয়েছে ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে। আর্টিস্ট ফোরামের কার্যনির্বাহী সম্পাদক শান্তিলাল মুখোপাধ্যায় বলেন, “বিষয়টি একেবারেই বোধগম্য হচ্ছে না।যাঁরা বৈঠক করে এসওপি বা নির্দেশাবলী বানালেন ,তাঁরাই যদি ভাঙেন,কার কি বলার আছে?

Advertisement

আমরা আর্টিস্টরা তো সবার শেষে!” বিষয়টি নিয়ে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ মুখ না খুললেও উজানের ভূমিকায় অভিনয় করা শন বলেন ,অধিকাংশ দৃশ্যই ‘চিট’ করে নেওয়া হয়েছে,এসওপি-র কোনো নির্দেশ অমান্য করা হয়নি। তাঁর বক্তব্যের সত্যতা এখনো জানা যায়নি। তবে হিয়ার চরিত্রাভিনেত্রী অনামিকাকে দিনভর ফোনে পাওয়া যায়নি। ‘এখানে আকাশ নীল ‘ -এর সমাপ্তির কথা স্বাভাবিকভাবেই দর্শকদের মনে অসন্তোষের সৃষ্টি করেছিল।তাঁদের মনে এই শোয়ের রেশ দীর্ঘদিন জিইয়ে রাখার জন্যই কি এই বিতর্কিত দৃশ্য তৈরী করা হলো? উত্তর পাওয়া যায়নি এখনো।

Recent Posts