আগামীবছর কার্তিক মাসে আসছেন মা

Advertisement

Advertisement

রাত পোহালেই শুভ বিজয়া দশমীর পুণ্য তিথি উপস্হিত। পুজোর এই কয়েকটা দিন কেটে গেল মাতৃসেবায়ে ও অনাবিল আনন্দে। মায়ের এবার কৈলাশ ফেরবার পালা। কৈলাশপতি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন মায়ের জন্য। তা যাই হোক বিজয়া দশমীর এই পুণ্য লগ্নে সিঁদুর খেলার পাশাপাশি আছে মিষ্টিমুখ করা ও ঘটা করে বড়দের প্রণাম করে তাঁদের আশীর্বাদ নেওয়া। আনন্দের এক ভিন্ন স্বাদে দিনটি নিছক অর্থেই উপভোগ করবে এই মর্তবাসী।

Advertisement

কিন্তু এই উল্লাসের পরবর্তী অধ্যায়ে আমাদের প্রায় সকলেরই জানা। নতুন বছরের ক্যালেন্ডার পেয়ে, প্রথমেই দেখব মা কবে আসছেন, অর্থাৎ বাঙালির শ্রেষ্ঠ ও প্রাণের উৎসব দুর্গাপূজা কবে থেকে। এক অতি স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া যা প্রতিবছর লক্ষ্য করা যায়, জানুয়ারি মাসে পড়বার সাথে সাথে। কিন্তু আগামীবছরের পুজোর সূচিতে রয়েছে এক ‘বৃহৎ’ পরিবর্তন। আসছে বছর সেপ্টেম্বর মাসের ১৭ তারিখ পড়ছে মহালয়া। এবং এর প্রায় ৩৫ দিন পরে অর্থাৎ ২২শে অক্টোবর পুজোর প্রথম দিন, “মহাষষ্ঠী”।

Advertisement

এই রকম দীর্ঘদিনের ব্যাবধান এর আগে দেখা যায়নি। মনে পড়ে বেশ কিছু বছর আগে, পুজো মহালয়ার দু সপ্তাহ পরে পড়েছিল। শুদ্ধ পঞ্জিকা মতে পর পর দুটি অমাবস্যা তিথির জন্য এই দীর্ঘ প্রতীক্ষা করতে হবে আমাদের। তাই আগামীবছর আশ্বিন মাস মল মাস রূপে চিহ্নিত হওয়ায়, মায়ের পূজা কার্তিক মাসে হবে। নিঃসন্দেহে এক বিরল ঘটনা! যে অকাল বোধন শ্রী রামচন্দ্র করেছিলেন এই মাসে,তাঁর মাহাত্ম কিছুটা হলেও স্কলিত হবে, যদি কার্তিকে মাকে আহ্বান করা হয়। তার থেকেও বড় কথা, “শারদীয়া উৎসব”, এই শব্দ দুটি কিভাবে এই বিপুল আয়োজনের সাথে যাবে, এখন সেটাই দেখার।

Advertisement

দৈবমহিমার কোন অন্ত নেই। যতই দেখবে, ততই অবাক হবে এই পৃথিবী। আশ্বিন এর মা কার্তিকে, ভাবতেই অবাক লাগে। কিন্তু নিরুপায় আমরা। দিন, ক্ষণ ইত্যাদি আশ্বিন মাসে পূজার অনুমতি দেয় না। তবু মা আসবেন। আমাদের কাছে এই সংবাদই এক পরম আনন্দের। কথায় আছে,”দেরীতে হলেও তো হল”-  মায়ের অষ্টসখীর এক সখী, লোকমাতা রানী রাসমণির জ্যেষ্ঠ জামাতার কোনও এক সময়ের এই কথাগুলো আজও তাৎপর্য বহন করে চলেছে!!

Written by – কুণাল রায়

Recent Posts