দিলীপের দাবি, “তৃণমূল সরকারের ইস্তফা দেওয়া উচিত”, পাল্টা জবাব সৌগত রায়ের

Advertisement

Advertisement

বঙ্গ রাজনীতিতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে দীর্ঘদিন ধরে শুভেন্দু ইস্যু নিয়ে চাপানউতোর চলছিল। অবশেষে গতকাল মন্ত্রিত্ব পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটালো শুভেন্দু নিজেই। কিন্তু তার মন্ত্রিত্ব পদ থেকে ইস্তফার মাধ্যমে শুরু হল বঙ্গ রাজনীতিতে নয়া মোড়। গতকাল থেকেই বারংবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব ও তৃণমূল ভেঙে যাওয়ার কথা বলে বারবার আক্রমণ হেনেছেন। আসলে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের এই অন্তর্দ্বন্দ্বের ছবি সাধারণ মানুষের চোখের সামনে চলে বিজেপি অনেকটাই সুবিধা পাবে লড়াইয়ে।

Advertisement

এরপর আজ সকালে কল্যাণী চা-চক্রে গিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ সরাসরি তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করে বলেছেন, “একের পর এক মন্ত্রী দল থেকে ইস্তফা দিচ্ছে। এবার তৃণমূল সরকারের ইস্তফা দিয়ে দেওয়া উচিত ভোটের আগে।” তিনি আরো বলেছেন, “গতকাল একদিকে শুভেন্দু তার মন্ত্রিত্ব পদ থেকে ইস্তফা দিল অন্য দিকে আবার কোচবিহারের বিধায়ক মিহির গোস্বামী দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিল। একই দিনে তৃণমূলের ওপর জোড়া সর্বনাশ। এর থেকে বোঝা যায় তৃণমূলের নেতারা আর পিসি ভাইপোর কথা মেনে বেশিদিন চলবে না। তারা সবাই দল ত্যাগ করবে। দলের বিপর্যয় মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে তৃণমূল।” তাই এই দাবীতে দিলীপ ঘোষ এদিন তৃণমূল সরকারকে ইস্তফা দেওয়া উচিত বলে জানিয়েছে।

Advertisement

অন্যদিকে, তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় দিলীপ ঘোষের কথার পাল্টা জবাব দিয়েছেন। তিনি পরিসংখ্যান উল্লেখ করে বলেছেন, “এতদিনে ২১৮ জন বিধায়কের মধ্যে ১ জন বিধায়ক দল ছেড়েছে। অন্যদিকে ২২ জন সাংসদের মধ্যে একজনও দল ছাড়েনি। ১৩ জন রাজ্যসভার সদস্যের কেউ দল ছাড়েনি। তাহলে দলের মধ্যে বিপর্যয় টা কোথায় হল যে তার মোকাবিলা করবে?” তিনি দীলিপবাবুকে সরাসরি আক্রমণ করে বলেছেন, “চা চক্রে গিয়ে প্রতিনিয়ত উল্টোপাল্টা বলার অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে দীলিপবাবুর। কিছু কথা বলার আগে তথ্যটা যাচাই করে দেখা উচিত।”

Advertisement

প্রসঙ্গত, দিলীপ ঘোষ গতকাল শুভেন্দু অধিকারী কে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়াও সগর্বে জানিয়েছেন খুব তাড়াতাড়ি তৃণমূল দল থেকে সবাই বেরিয়ে আসবে। এছাড়াও আরেক বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু দাবি করেছেন, “তৃণমূলের ২৪ জন বিধায়ক দল ছাড়তে তৈরি। খুব শীঘ্রই তৃণমূল সরকার সংখ্যালঘু হয়ে পড়বে।”