পরিস্থিতি সামলাতে বিজেপির প্রার্থী হতে পারে দিলীপ-মুকুল, জোর জল্পনা রাজনৈতিক মহলে

সূত্রের খবর দিলীপ দাড়াবেন দুবরাজপুর থেকে এবং মুকুল দাঁড়াচ্ছেন কৃষ্ণনগর দক্ষিণ থেকে

Advertisement

Advertisement

প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার পরেই শুরু হলো গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। জায়গায় জায়গায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বিক্ষোভ। তাদের সকলের দাবি একটাই , এই প্রার্থী তাদের না পসনদ। মূলত এই বিক্ষোভ করা হচ্ছে তারকা প্রার্থীদের বিরুদ্ধেই। আর এই পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে রাজ্য বিজেপি। এবারে বাংলা বিজয়ে একেবারে সব শক্তি দিয়ে ঝাপাছে বিজেপি। তার প্রস্তুতি কার্যত শুরু। একেরপর এক বিজেপি নেতা রাজ্যে এসে সফর করছেন। কিন্তু দিন কয়েক হলো বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সভায় হচ্ছেনা ভিড়। যোগী আদিত্যনাথ এর ফ্লপ সভার পরে রাজ্য পুলিশকে কটাক্ষ করে বিজেপির সাফাই এলেও এই ফ্লপ সভা আদতে কিন্তু মাথায় চিন্তার ভাজ ফেলেছে মোদী শাহেদের । আর এই জন্যই এবারে হয়ত ভোটের বাজি জিততে বিজেপি মাঠে নামাতে চলেছে তাদের সবচেয়ে শক্ত ঘুটিকে। সম্ভবত এবারে বিজেপির হয়ে প্রার্থী হবেন দিলীপ ঘোষ এবং মুকুল রায়ের মত হেভিওয়েট।

Advertisement

দিল্লিতে আবারো জবাবদিহি করার জন্য ডাকা হয়েছে বিজেপির প্রথম সারির নেতাদের। বাংলায় বিজেপির গ্রহণযোগ্যতা কমছে বলে মনে করছেন অনেক কেন্দ্রীয় নেতা। আর তার মধ্যে গোদের ওপরে বিষফোড়া বিজেপির নিজেদের কর্মীদের বিক্ষোভ। দুই কারণে এবারে বিজেপির নৌকা পাড়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব এবারে সরাসরি বর্তাতে পারে দিলীপ এবং মুকুলের ওপরে। ইতিমধ্যেই বিজেপি তাদের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়, লকেট চট্টোপাধ্যায়, স্বপন দাশগুপ্ত দের মাঠে নামিয়ে দিয়েছে। আর এবারে নামতে চলেছেন দিলীপ ঘোষ এবং মুকুল রায়। সূত্রের খবর, দিলিপ দাড়াবেন দুবরাজপুর আসন থেকে। এবং মুকুল দাঁড়াবেন কৃষ্ণনগর দক্ষিণ আসন থেকে।

Advertisement

বীরভূমের দুবরাজপুর আসনে আগের বারে লোকসভায় বিজেপি অনেকটা এগিয়ে ছিল। তার এই আসনটি বিজেপির একটি সেফ সিট। আর কৃষ্ণ নগর দক্ষিণ আসনেও বিজেপির ভোটের ব্যবধান অনেকটা বেশী ছিল। তবে, উল্লেখনীয় বিষয় হলো মুকুল রায় শেষ বিধানসভায় দাঁড়িয়েছিলেন ২০০১ সালে। সেইবারে পরাজিত হওয়ার পর থেকে মুকুল রায়কে প্রত্যক্ষভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি মুকুল। তারপর থেকে প্রথমে তৃণমূল আর এরপর বিজেপির চানক্যের ভূমিকায় তাকে দেখা গেছিলো।

Advertisement

তবে, এবারের বিধানসভায় বিজেপি তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী দুই শক্তিকে কাজে লাগালে আবারো আমরা দেখতে পাবো মুকুল রায়কে কোনো একটি আসনের প্রার্থী হিসাবে। এর পাশাপশি রাজ্য নেতৃত্বের কনফিডেন্স বুষ্ট করারও প্রয়োজন। আর কিছুদিনের মধ্যে আবার রাজ্যে আসছেন মোদী। তার আগেই একটা ভোকাল টনিক দেওয়ার জন্যও রাজ্যের বিজেপি নেতাদের ডাকা হয়েছে দিল্লিতে।

Recent Posts