“মারতে শুরু করলে ব্যান্ডেজ লাগানোর জায়গা পাবে না”, শাসকদলকে হুঁশিয়ারি দিলীপের

Advertisement

Advertisement

একুশের নির্বাচনের আগে ক্রমশ রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে বঙ্গে। তৃণমূল-বিজেপি দ্বন্দ্ব সরগরম করে রেখেছে গোটা বঙ্গ রাজনীতিকে। এরই মধ্যে আবারও চায় পে চর্চায় গিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ শাসকদলের জনোনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রবল আক্রমণ শানালেন। আজ অর্থাৎ শনিবার তিনি সকালবেলায় বামন ঘাটা চা-চক্রে উপস্থিত হয়েছিলেন। আর সেখান থেকেই একাধিক ইস্যু নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দফায় দফায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

Advertisement

আজ অর্থাৎ শনিবার বামনঘাটার চায় পে চর্চা তে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর সেখান থেকেই তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে তার ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “যেদিন সত্যি সত্যি মারতে শুরু করব, ব্যান্ডেজ বাঁধা জায়গা পাবেন না।” তিনি আরো বলেছেন, “সিদ্ধাত শঙ্করের আমল থেকে বাংলায় চলছে হিংসার রাজনীতি। এর আগে সিপিএম করতো আর এখন তৃণমূল একই কাজ করছে। কোন লোক বিজেপিতে যোগ দিলেই তাকে মারধর করা হচ্ছে। আমাদের মতো নেতাদের সবারই পুলিশ কেস আছে। আমার নামে ৪০ টা মামলা আছে গোটা রাজ্য জুড়ে। বিজেপি কিছু করলেই পুলিশ কেস হয়ে যায়।”

Advertisement

এছাড়াও এদিন চায় পে চর্চা থেকে তিনি বলেছেন, “তৃণমূলের নেতারা কাটমানি খাচ্ছে। কিছু করতে গেলেই প্রনামী দিতে হয় কালীঘাটে। চাষীদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার অনেক কিছু করছে কিন্তু কিছুই পাচ্ছেনা চাষীরা। সব টাকা যাচ্ছে তৃণমূল নেতাদের পকেটে। বিজেপি জনহিতকর কাজে যতই টাকা পাঠাচ্ছে সব টাকা খেয়ে নিচ্ছে। এখন তো দিদির ভাইরা ৫ টাকায় আলু কিনে ৪৫ টাকায় বিক্রি করছে।”

Advertisement

এছাড়াও এদিন অমর্ত্য সেন নিয়ে মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন, “বিজেপির কারও সার্টিফিকেট লাগে না। উনি যার জন্যে ব্যাটিং করছেন তার জন্য করুক। তিনি একজন অসফল মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনছেন।” এছাড়াও দিলীপ ঘোষ দিনহাটার ঘটনার প্রসঙ্গে বলেছেন, “তৃণমূলের একুশে নির্বাচনে হারার সম্ভাবনা যত বেশি প্রবল হচ্ছে, ততো হিংস্র হয়ে যাচ্ছে ওরা। যত্রতত্র বিজেপি কর্মী খুন হয়ে যাচ্ছে। আর রাজ্যপুলিশ তো নপুংসক হয়ে সব দেখছে।”

Recent Posts