আড়াই মাসও কাটল না, বিজেপি দল ছাড়লেন দীপেন্দু বিশ্বাস

তৃণমূলের টিকিট না পাওয়ায় বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন বসিরহাটের ফুটবলার নেতা দীপেন্দু বিশ্বাস

Advertisement

Advertisement

একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের আগে বঙ্গ রাজনীতিতে দলবদলের ট্রেন্ড এসেছিল। একের পর এক তৃণমূল নেতা শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে দল ছেড়েছিলেন। বসিরহাট দক্ষিণের প্রাক্তন বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাস দলের হয়ে টিকিট না পাওয়ায় রাতারাতি দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। হয়তো তার প্রত্যাশা ছিল যে বিজেপিতে যোগদান করলে ভোটে লড়াই করার টিকিট মিলবে। কিন্তু বাস্তবে সে গুড়ে বালি! বিজেপিতে যোগদান করলেও আশা পূরণ হয়নি ফুটবলার নেতার। তাই আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার দীপেন্দু বিশ্বাস বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে চিঠি পাঠিয়ে দল ত্যাগ করেছেন।

Advertisement

দীপেন্দু বিশ্বাস তৃণমূল ছাড়ার সময় শীর্ষ নেতৃত্বের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন, “আমি দলের জন্য অনেক পরিশ্রম করেছি। বসিরহাটে আমার বিরোধী বলে কিছু নেই। আমার বাবা এখানে থাকেন। আমি লাগাতার ৫ বছর বসিরহাটের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। সুখে-দুঃখে সাধারণ মানুষের পাশে আমাকেই পাওয়া গেছে। করোনার সময় রাত ১ টা অব্দি এলাকায় ঘুরেছি কারো কিছু দরকার আছে নাকি দেখাশোনা করার জন্য। অত রাত্রে এসে স্নান করে মেয়ের মুখ দেখতে পেতাম। কিন্তু দল আমাকে টিকিট দেয়নি। এটা আমাকে আগে জানাতে পারত। আমার সাথে সুব্রত বক্সী বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুসম্পর্ক আছে। তাহলে এটুকু আশা করা যায় যে আমি টিকিট পাব। আমার বাবা এই ঘটনায় খুবই কষ্ট পেয়েছেন। আমাদের পরিবারের এলাকায় সম্মান রয়েছে।”

Advertisement

তবে প্রতিবাদী হয়ে দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করে তিনি তার রাজনৈতিক জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করতে চেয়ে ছিলেন। বাস্তবে বিজেপিতে গিয়েও তিনি কোন সম্মান পাননি। তাই গতকাল বিজেপির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। বিজেপি কর্মী হিসেবে দলের বিরুদ্ধে গিয়ে তিনি বলেছেন , “গতকাল নিজাম প্যালেসের কাজটা এখন না করলেও চলত। করোনার সময় এরকম ঘটনা ঠিক নয়। শুধুমাত্র রাজনৈতিক হিংসার বহিপ্রকাশ।” সেই সাথে তিনি বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কে ইমেইলে একটি চিঠি পাঠিয়ে দল থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন।

Advertisement

Recent Posts