করোনা সংক্রমনের দাপটের মাঝেই বাংলায় আস্ফালন দেখাতে আসছে ঘূর্ণিঝড় যশ। আজ সকালের মৌসম ভবনের রিপোর্ট অনুযায়ী দীঘা থেকে যশের দূরত্ব আর মাত্র ৮০ কিলোমিটার। ধামরা থেকে ঝড়টি মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে আছে। এই ঘূর্ণিঝড় বালেশ্বরে ল্যান্ডফল করতে পারে। তখন এই ঝড়ের গতিবেগ প্রায় ১৩০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা হবে। এছাড়া কলকাতায় এই মুহূর্তে ৬২ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা বেগে ঝড়ো হাওয়া বইছে।
মৌসম ভবন এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় যশ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ২০ ডিগ্রী ১ মিনিট উত্তর অক্ষাংশ ও ৮৭ ডিগ্রী ৮ মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমায় অবস্থান করছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ উত্তর-পশ্চিম দিকে। যদি উত্তর দিকে সরাসরি ঝড়টি এগোত, তাহলে সেটি সোজা পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়তো। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়টি ধামরা উপকূলে একটি বাঁক নেবে। সেখান থেকেই ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ পরিবর্তন করে ধামরা ও বালেশ্বর এর মাঝামাঝি জায়গায় পৌঁছে যাবে। এই ঝড় মোকাবিলার জন্য ইতিমধ্যে প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে এনডিআরএফ ও ৩ কলাম সেনাবাহিনী।
দিঘাতে ঘূর্ণিঝড়টি না পৌঁছালেও ইতিমধ্যেই সমুদ্রে ৩০ ফুট উচ্চতার ঢেউ উঠছে। ধীরে ধীরে উপকূলবর্তী গ্রামগুলিতে জল ঢুকে গেছে। গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় কাঁপছে প্রশাসন। এখনই গ্রামগুলিতে কোমর অব্দি জল ভরে গিয়েছে। এমনকি রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকবে গাড়ি ডুবে যাচ্ছে। দীঘা এবং চাঁদিপুরে প্রবল জলোচ্ছ্বাস দেখা যাচ্ছে। দীঘার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের দুই মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় অতি ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়াও কলকাতা, হাওড়া, হুগলি ও উত্তর ২৪ পরগনার একাধিক এলাকাতে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে।