Categories: দেশনিউজ

সুপার সাইক্লোন আমফানের মোকাবিলায় এগিয়ে এলেন নারী পুলিশরা

Advertisement

Advertisement

শ্রেয়া চ্যাটার্জি – পশ্চিমবঙ্গের সাথে সাথে উড়িষ্যার উপকূলে আছড়ে পড়েছিল ‘আমফান’। অসহায় হয়ে পড়েছিল উপকূলবর্তী এলাকার মানুষরা। সামনে এগিয়ে এসেছে নারী পুলিশ বাহিনী। ১১৮ জন নারী পুলিশ মিলে উদ্ধারকার্যে নেমে পড়েছেন। ১৫,০০০ উপকূলবর্তীবাসীকে তারা সারা রাত ধরে উদ্ধার করেছেন। তাদের জীবন বাঁচিয়েছেন। ভদ্রক এর সুপারিনটেনডেন্ট রাজেশ পন্ডিত জানিয়েছেন, “ওড়িশা সরকারের পুলিশ বাহিনীর মধ্যে ৩০% হলেন নারী পুলিশ। কোনরকম লিঙ্গ ভেদাভেদের নাম মাথায় রেখে তারা যেকোন রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ান। শুধু তাই নয়, করোনা ভাইরাস চলাকালীন প্রত্যেক নারী পুলিশ তাদের যে যার নিজের জায়গায় ভীষণ দক্ষতার সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন।”

Advertisement

এই ১১৮ জন এর মধ্যে ছিলেন ৭৩ জন কনস্টেবল, সাতজন ইন্সপেক্টর, ৬ জন সাব-ইন্সপেক্টর, ৪ জন এসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর, এবং ৯ জন ওড়িশার অক্সিলিয়ারি পুলিশ ফোর্স, এবং ১৮ জন হোম গার্ড। ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকাতে বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয়স্থল তৈরি করা হয়েছিল। এমনকি ভদ্রকেই ১০৪ টি আশ্রয়স্থল তৈরি করা হয়। সাধারণত বিদ্যালয় গুলিকে আশ্রয়স্থল হিসাবে বেছে নেওয়া হয়। তবে অনেক বিদ্যালয় আগে থেকেই করোনা ভাইরাস এর জন্য পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা মাথায় রেখে এগুলিকে শ্রমিকদের আশ্রয়স্থল হিসাবে জায়গা দেওয়া হয়েছিল।

Advertisement

Advertisement

নারীরা চাইলে কিনা করতে পারে। তারা যেমন ঘর সামলাতে পারে, তারা নিজেদের জীবিকাকেও সমান ভাবে পালন করতে পারে। তার উদাহরণ বোধ হয় এই নারী-পুলিশের বাহিনী।কখনো অসহায় মায়ের শিশুকে কোলে নিয়ে বৃষ্টির মধ্যে ছাতা ধরে আশ্রয়স্থলে নিয়ে যাওয়া কখনো আবার মায়ের হাতে তুলে দেওয়া খাদ্য সামগ্রী। এমন ছবি ফুটে উঠছে চারিদিকে। যারা বলেন এই সমস্ত কাজ শুধু পুরুষরাই পারে, তারা বোধহয় এই ছবি দেখার পরে আর এমন কথা বলবেন না।

Recent Posts