করোনা সংক্রমনের দাপটে কাঁপছে গোটা দেশ তথা রাজ্য। কিছুদিন আগেই সস্ত্রীক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য করোনা রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। প্রথমে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হননি। বাড়িতেই চিকিৎসা চলছিল তার। কিন্তু গত সোমবার রাতে তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেন। সোমবার রাতের দিকে তার প্রচুর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এমনকি মঙ্গলবার সকালে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের অক্সিজেন স্যাচুরেশন মাত্রা ৮০-৮২ হয়ে যায়।
অবস্থার অবনতি হলে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের চিকিৎসকরা এই দুর্যোগের সময় কোন রকম ঝুঁকি নিতে চাইনি। তাই তারা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেয়। ওই পরিস্থিতিতে তাকে জরুরী ভিত্তিতে উডল্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল হাসপাতাল তরফে জানানো হয়েছে, “আপাতত স্থিতিশীল রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তার রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে গতকালই রেমডেসিভির ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। দরকার পড়লে টকিলিজুমার দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।”
অন্যদিকে করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রথমেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। পরে অবস্থা স্থিতিশীল হলে সোমবার তিনি বাড়ি ফিরে যান। কিন্তু মঙ্গলবার বুদ্ধদেব বাবুকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর তার স্ত্রীর প্যানিক অ্যাটাক হয়। তাই তাকেও কিছুক্ষণের মধ্যেই উডল্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী কে। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে যে তার অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল এবং তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ১৮ মে শারীরিক অবস্থার অবনতির জন্য সস্ত্রীক বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের করোনা পরীক্ষা করানো হয়। সেই পরীক্ষাতেই দুজনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। প্রথমেই মীরা ভট্টাচার্যকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য হাসপাতালে ভর্তি হতে রাজি হননি। তার সিওপিডি সমস্যার জন্য তার বাড়িতেই সারাক্ষণ অক্সিজেন সাপোর্ট থাকে। প্রথমে তার বাড়ির চিকিৎসকই তার চিকিৎসা করছিলেন।