স্বাস্থ্যসাথী কার্ড কাজে লাগিয়ে নার্সিংহোমে চলছে দেদার জালিয়াতি, পুলিশি তদন্তে সামনে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

বাঁকুড়ার ২ নার্সিংহোম এর সঙ্গে যুক্ত ১ এজেন্টকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, সম্ভাবনা আছে বাংলার অন্যান্য নার্সিংহোমেও এরকম জালিয়াতি চক্র রয়েছে

Advertisement

Advertisement

স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দেখিয়ে জালিয়াতি করার অভিযোগে অভিযুক্ত বাঁকুড়ার ২ বেসরকারি হাসপাতাল। এই জালিয়াতির ঘটনায় অভিযুক্ত গোয়ালতোড় থানার আওতাধীন মানিকদিপা এলাকার বাসিন্দা পিন্টু রুইদাস স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর সুস্থ উপভোক্তাদের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে সোনামুখীর দুটি নার্সিংহোমে ভর্তি করাতেন। অন্যদিকে, ওই নার্সিংহোম তাদের দশ দিন রেখে বাড়ি ফিরিয়ে দিত। বিনিময় ওই উপভোক্তাদের ১০ হাজার করে টাকা দিত পিন্টু রুইদাস।

Advertisement

এছাড়াও এলাকার কিছু বয়স্ক মানুষ কে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়ে ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হতো এবং কোনরকম চিকিৎসা ছাড়াই তাদের নার্সিংহোম থেকে ছেড়ে দেওয়া হতো। হঠাৎ করেই একদিন পিন্টুর এই কীর্তিকলাপের কথা সকলের কাছে ফাঁস হয়ে যায়, এবং এলাকার বাসিন্দারা তাকে চেপে ধরেন। জানা যায় ওই দুটি নার্সিংহোম পিন্টু কে কাজে লাগিয়ে স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড ব্যবহার করে কারো কাছ থেকে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা, কারো কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা আবার কারো কাছ থেকে ৯০ হাজার টাকা তুলে নিয়েছে।

Advertisement

পুলিশ এই ঘটনা তদন্তে নেমেছে। ইতিমধ্যেই পিন্টুকে গ্রেফতার করা হয়েছে তবে পুলিশের ধারণা আরও বেশ কয়েকজন এই জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। এলাকার বাসিন্দারা পিন্টুকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন এবং তাকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়াও ওই দুই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধেও পুলিশের কাছে অভিযোগ গেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করছে এবং মনে করছে এর পিছনে একটা বড় জালিয়াতি চক্র কাজ করছে। পুলিশের ধারনা শুধু এই হাসপাতালে নয় আরো অন্য হাসপাতালেও এরকম জালিয়াতি চক্র চলছে।

Advertisement