ত্রিপুরায় খেলা শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেস, বামেদের উদ্দেশ্যে কৌশলী বার্তা ব্রাত্যর

জোট কি হবে? সম্ভাবনা এখনো জিইয়ে রাখলেন ব্রাত্য বসু

Advertisement

Advertisement

ত্রিপুরায় শুরু হয়ে গেল খেলা হবে দিবসের কর্মসূচি। এ দিনের কর্মসূচি শুরুতেই সাংসদদের ফুটবল নিয়ে খেলতে দেখা গেল। তৃণমূলের তারকা সংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় পা দিয়ে ফুটবল ড্রিবল করলেন। রাজনৈতিক মহল মনে করছে ইতিমধ্যেই ওয়ারম আপের মাধ্যমে শক্তি প্রদর্শন করতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং তার জন্যই তারা বেছে নিল আজকের দিনকে।

Advertisement

ব্রাত্য বসু থেকে শুরু করে অর্পিতা ঘোষ, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আরো অনেক সাংসদ আজকে ফুটবল খেলেন। সাংবাদিক বৈঠকে ব্রাত্য বসু বলেন, ” বাংলা বিজেপির সাথে ত্রিপুরার বিজেপির ফারাক আছে ভেবেছিলাম। বিজেপি আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল। অভিষেকের গাড়িতে হামলা করল। জয়া সুদীপ এবং দেবাংশুদের গ্রেফতার করা হলো। আমাদের নামেও কেস ঠোকা হলো।তৃণমূল তো এখনো পর্যন্ত গৌণ শক্তি আছে। তাহলে আপনাদের এত ভয় কেন? আমাদের আটকাচ্ছেন কেন? মানুষ তো আপনাদের সাথে আছেন। যদি সত্যিই থাকে তাহলে ভয় পাচ্ছেন কেন? ”

Advertisement

পাশাপাশি ব্রাত্য বসু বলেন, ” ত্রিপুরা কোন পরাধীন অঙ্গরাজ্য নয়। আমরা সব ব্লকে স্বাধীনতা দিবস পালন করব। সব জায়গায় খেলা হবে দিবস হবে। ” অন্যদিকে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “আমাদের প্রেস কনফারেন্স করতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। আমাদের এজেন্টদের গাড়ি হোটেল দিতে বারণ করা হয়েছে।”

Advertisement

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে ত্রিপুরায় কি তাহলে বাম এবং তৃণমূল যৌথশক্তি হবে? ব্রাত্য বসু বলেন, “জোট একটি রাজনৈতিক কৌশল। মানুষের চাহিদা আগে বুঝে নিয়ে তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নেব।” এই মন্তব্যের মাধ্যমে তৃণমূল সাংসদ ব্রাত্য বসু বামেদের উদ্দেশ্যে একটি কৌশলী মন্তব্য করে রাখলেন। কার্যত তিনি বুঝিয়ে দিলেন ত্রিপুরায় কিন্তু বামেদের সাথে তৃণমূল এর জোট করতে খুব একটা অসুবিধা নেই। তাহলে কি আগামী নির্বাচনে ত্রিপুরায় আমরা বাম এবং তৃণমূলকে একসাথে দেখব? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।

Recent Posts