প্রাথমিক শিক্ষক ৩০ দিনের মধ্যে নিয়োগ করতে হবে, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

Advertisement

Advertisement

কলকাতা: প্রাথমিক শিক্ষক (Primary Teacher) নিয়োগে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার (State Government)। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) নির্দেশ দিয়েছে,৩০ দিনের মধ্যে নিয়োগ করতে হবে। বাম আমলে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে মামলা হয়েছিল। এদিন হাইকোর্টে সেখানেই ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এদিন এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী।

Advertisement

২০১৫ সালে প্যানেল সম্মতি দেওয়া হয়েছে। তবে তা প্রকাশ করা হয়নি। আদালত নির্দেশ দিয়েছে, মালদা এবং উত্তর ২৪ গরগণা জেলার ক্ষেত্রে দুসপ্তাহের মধ্যে প্যানেল প্রকাশ করতে হবে। এবং পরের দুসপ্তাহের মধ্যে নিয়োগপত্র দিতে হবে।

Advertisement

২০০৯ সালে রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে শিক্ষক নেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ২০১০ সালে রাজ্যের সব জেলায় নিয়োগ হয়ে গেলেও চারটি জেলায় তা হয়নি। মালদা, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ গরগণা এবং হাওড়ায় নিয়োগ হয়নি। ২০১২ সালে অচ্ছ্বতার অভিযোগে রাজ্য সরকার সেই পরীক্ষা বাতিল করে দেয়।

Advertisement

এরপর কিছু পরীক্ষার্খী মামলা দায়ের করেন। এবং এর জেরে ২০১৪ সালে হাওড়া জেলার চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। এবং নিয়োগ করা হয় ২০১৪ সালে। মালদা জেলায় ফের পরীক্ষা নেওয়া হয়। এবং লিখিত পরীক্ষার ফলাফল ইন্টারভিউ শেষ হয় ২০১৫ সালের জুন মাসে। পর্ষদ প্যানেলের অনুমোদন দেয়। কিন্তু মালদা এবং দুই ২৪ পরগনার নিয়োগ এখনো হয়নি।

এরপর ২০১৭ সালে হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চ ১৪ দিনের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার রায় দেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় সীমা পেরিয়ে গেলেও মালদা উত্তর ২৪ পরগনায় সেই রায় মানা হয়নি বলে জানা গিয়েছে। ডি পি এস সি  সেই রায় মানেনি। আদালতের দেওয়া ১৪ দিনের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও সরকার নিয়োগের কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।

২০১৮ সালে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি সিঙ্গল বেঞ্চের পুনর্বিবেচনার জন্য পাঠান। এর মাঝে ২০২০ সালে সিঙ্গল বেঞ্চে মামলাটি বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর এজলাসে চলে আসে। সেই মামলার শুনানি হয়েছে গত দুমাস ধরে। তারপর এদিন রায় দেওয়া হল।

Recent Posts