বিয়ের ভিডিও পোস্ট করে ট্রোলডের জবাব দিলেন মোনালি ঠাকুর

Advertisement

Advertisement

তিন বছর আগে মোনালি ঠাকুরের বিয়ে হয়ে গেছিল কিন্তু তিনি প্রকাশ করেনি সোশ্যাল মিডিয়ায়। দুমাস আগে তিনি ভিডিওর মাধ্যমে তার বিয়ের কথা নেটিজেনদের জানায়। তারপর থেকে জনপ্রিয় গায়িকাকে নিয়ে চর্চা করতে শুরু করেন। তাকে ‘গোল্ড ডিগার’ বলে আক্রমণ করেন একাংশ মানুষ। এই আক্রমণের জবাব দিতেও গায়িকা ভোলেননি। তিনি তার ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করে অনেক ক্যাপশন লিখেন তাদের জবাব দেন।

Advertisement

তার স্বামী মাইক রিখটারের সঙ্গে আংটি বদল এর সময়ের ভিডিও শেয়ার করে তিনি ক্যাপশনে লেখেন, “গত তিন বছর আগে আমি আর মাইক বিয়ে করেছি। আর বিয়েতে আলাদা করে কোনও রীতি মানা হয়নি। এতে শুধুই ভালোবাসা আর নাটক রয়েছে। বিয়ের জন্য আলাদা কোনও আয়োজনও করা হয়নি। শুধুই একদম প্রকৃত ভালোবাসা মেনে বিয়েটা হয়েছে। বিয়ের দিন আমরা দুজনেই প্রমাণ সাইজের পোশাক পরেছিলাম। যেটা শেষ মুহূর্তে বান্দ্রা থেকে কেনা হয়েছিল। যেন মনে হচ্ছে স্কুলের বাচ্চা নাটকে অংশ নিতে যাচ্ছে। আমি সালোয়ার আর স্নিকার্স পরে ছিলাম, সঠিক জুতো কেনার মতো সময়ও ছিল না। মোনালি আরও লিখেছেন, যেহেতু আমরা বিয়ের জন্য আলাদা করে তিন বছরে কোনও সেলিব্রেশন করিনি, তাই ওই দিনই আমরা বিয়ের দিন হিসাবে পালন করি। ওই দিনটি ছিল আমাদের জন্য শুধু ভালোবাসা আর খুশির। এতে কোনও নাটক ছিল না”।

Advertisement

এছাড়াও তার এই বিষয়ে সমালোচকদের জবাব দেওয়ার জন্য তিনি বলেন, “কিছু আজব প্রাণী সোশ্যাল মিডিয়ায় আমায় গোল্ড ডিগার লিখছেন। আর যাঁরা এমনটা লিখছেন, তাঁরা আদপে ব্যক্তিগত জীবনে ব্যর্থ। জানিয়ে রাখি, আমি আমার স্বামীর থেকেও বেশি রোজগার করি। তবে এই মানুষটিকে আমি বিয়ে করেছি, কারণ, উনি আমার সাফল্য উদযাপন করেন, উনি আমার শক্তি ও স্বাধীনতা। আপনাদের হতাশ করার জন্য দুঃখিত, তবে আমাদের বিয়েতে কোনও নাটক নেই”।

Advertisement

জানা গেছে তার বিয়ে একটু অদ্ভুত ভাবেই হয়েছে। মানালিকে রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে অনেকক্ষণ মাইকের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল। তারপর অনেকক্ষণ সময় পেরিয়ে গেলে ফোন করেন কিন্তু ফোন ধরছিলেন না তিনি। তারপর জানা যায় জার্মান থেকে তিনি ভিসা ছাড়াই ভারতে চলে আসেন তাই বিমান কর্তৃপক্ষ তাকে আটকায়। আরো জানায় তিনি, অন্য কারোর থেকে জানে মাইক যে জার্মান থেকে ভারতে আসার জন্য জার্মানির পাসপোর্ট থাকলেই হয়ে যায় ভিসার প্রয়োজন হয়না। সেই কথা মেনে তিনি এমন কাজ করেন।

তারপর ওই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকার তাকে সাহায্য করেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সাহায্যের জন্যই সেদিন তাদের দুজনের রেজিস্ট্রি হয়। এই কথা নিজের মুখেই স্বীকার করেছেন।