চলচ্চিত্র জীবনের মতোই ব্যক্তিগত জীবনটাও বেশ আড়ম্বরপূর্ণ বলিউডের মিস ইউনিভার্স তথা বাঙালি কন্যা সুস্মিতা সেনের। মাত্র ১৯ বছর বয়সে বিশ্ব সুন্দরী হয়েছিলেন এই বঙ্গ তনয়া। তারপর ২৫ বছরেই ২০০০ সালে বড় মেয়ে রেনেকে দত্তক নিয়ে সমাজের স্টিরিওটাইপ ভেঙেছিলেন বলিউডের প্রাক্তন মিস ইউনিভার্স । এরপর ১০ বছর পর আলিশাকে দত্তক নেন এই সুন্দরী। বরাবরই জীবনের ছক ভাঙতে পছন্দ করেন সুস্মিতা। অভিনেত্রীর জীবনে একাধির প্রেম এসেছে আবার নীরবে চলেও গিয়েছে তবে কখনো সমাজের চোখারাঙানিকে তোয়াক্কা করেননি।
বরং নিজের শর্তে বাঁচতে ভালোবাসতেন অভিনেত্রী। জীবনের ৪৬টা বসন্ত পেরিয়েও তিনি একইরকম থাকেন। অভিনয় আর মডেলিং এর পাশাপাশি কারোর কোনো সাহায্য দুুই দত্তক কন্যাকে সিঙ্গল মাদার হয়ে বাবা মায়ের ভালোবাসা দিয়েছেন। সুস্মিতা আগে অনেক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, রেনে ও আলিশা তাঁর হৃদয় থেকে জন্মেছে। এতটাই মজবুত তাঁদের বন্ডিং। এমনকি তারকা হয়েও মেয়েদের চুল কেটে দেওয়া, তাঁদের যত্ন নেওয়া সবই করেন। দুই মেয়ে নিয়ে অভিনেত্রীর এক ছোট্ট জগৎ। তবে এর মাঝেই বুধবার রাতে মিস ইউনিভার্সের সাথে দেখা যায় তাঁর দুই কন্যা এবং আরও এক খুদের সঙ্গে।
এরপরেই বলিপাড়ায় জোড় গুঞ্জন সেই শিশু পুত্রটিকে নাকি এবার দত্তক নিয়েছেন বঙ্গ তনয়া। এরপর এই খবরটি রকেটের মতো চারিদিকে দ্রুত পৌছে যায়। নিমেষে ভাইরাল হয়ে যায় সেই ছবি আএ ভিডিয়ো। কিন্তু সত্যি কি তাই? ভাইরাল হওয়া ছবিতে কালো প্যান্ট ও টি-শার্ট আর লাল রঙের সালে ধরা দিলেন অভিনেত্রী। এদিন নিজের ফ্যামিলি ফটো তোলবার সময় ওই খুদের অপেক্ষা করতে দেখা গিয়েছে বঙ্গ সুন্দরী সুস্মিতাকে। শুধু তাই নয় সুস্মিতাকে ওই খুদেকে ‘গডসন’ বলে মেনশন করেন। আর নায়িকার এই শব্দ নিয়েই তৈরি হয়েছে এক ধোঁয়াশা।
তবে এই গুঞ্জন অভিনেত্রীর কাছেও যায়। এবার সেই উত্তর দিয়েছে অভিনেত্রী নিজে। অভিনেত্রীর থেকে জানা গিয়েছে এই একরত্তির নাম অ্যামান্ডেয়াস। সুস্মিতার ধর্ম-পুত্র সে। তাঁর প্রিয় বান্ধবী শ্রীজয়ার ছেলে। আর কোনওভাবেই তিনি এই খুদে অ্যামান্ডেয়াসকে দত্তক নেননি সুস্মিতা। ‘গডসন’-এর কথাটি পশ্চিমী সংস্কৃতিতে খুব প্রচলিত। আর অভিনেত্রী এদিন এই খুদের সঙ্গে একটি নিজের ছবি পোস্ট করে সুস্মিতা সব জল্পনার অবসান ঘটিয়েছেন। সুস্মিতা ক্যপাশানে লেখেন, আমার গডসন অ্যামান্ডেয়াসের সঙ্গে একটু আলোচনা করছি ওকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমে যে নিউজটা ভাইরাল হয়েছে সেই ব্যাপারে। ওর মুখের অভিব্যক্তি সবটা বলে দিচ্ছে। ছবিটা তুলেছে ওর মা শ্রীজয়া’। মাত্র তিন লাইনেই সব জল্পনার উত্তর দিলেন। আর পাপারিজ্জদের মুখ ও পুরোপুরি বন্ধ।