সবুজ ঝড়ে ফিকে গেরুয়া রং, ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন অর্জুন সিং

সোমবার রাতভর ভাটপাড়া ১১ নম্বর ওয়ার্ডে বিভিন্ন জায়গায় তাণ্ডব চলে

Advertisement

Advertisement

বিধানসভা নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ব্যারাকপুরে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। কিন্তু এরমধ্যেই তিনি ইস্তফা দিতে চান! আসলে তিনি জানিয়েছেন যে তিনি এলাকার দলীয় কর্মীদের সুরক্ষা দিতে পারছেন না। সুরক্ষায় যদি না দিতে পারেন তাহলে তিনি কিসের জনপ্রতিনিধি? এই আত্মউপলব্ধি কুঁড়ে খাচ্ছে তাকে। আসলে ফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যে রাজনৈতিক অশান্তির খবর বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন জেলার প্রান্তে প্রান্তে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চলছে। কোথাও তাদের বাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে আবার কোথাও তাদের বাড়িতে তালা দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও চলছে বোমাবাজি। বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চলছে। একাধিক জেলার কর্মীরা ভয়ে ঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

Advertisement

পরিস্থিতির গাম্ভীর্য বুঝে ইতিমধ্যেই বাংলায় এসেছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। ইতিমধ্যেই বিজেপি মমতার শপথ গ্রহণের দিন অর্থাৎ বুধবার দেশজুড়ে ধর্নায় বসবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এমনই অবস্থার মাঝে হঠাৎ করেই বিজেপির দাপুটে ব্যারাকপুরের নেতা অর্জুন সিং তার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তিনি গতকাল রাতে এক আক্রান্ত দলীয় কর্মীর বাড়িতে। সেখানে তিনি কর্মীদের সাথে কথা বলার পরেই ভেঙে পড়েন।

Advertisement

গতকাল আক্রান্ত দলীয় কর্মীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে অন্যান্য কর্মীদের সাথে কথা বলার সময় তিনি জানিয়েছেন, “গণতন্ত্র রক্ষার জন্য জনগণের ভোটে আমি জয়ী হয়েছি। আর এখন আমি জনগণকে রক্ষা করতে পারছি না। তাহলে আমার জনপ্রতিনিধি হওয়ার লাভ কি হল? আমার হয়তো এখন সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেওয়া উচিত।”এছাড়াও তিনি বলেছেন যে সোমবার রাতভর ভাটপাড়া ১১ নম্বর ওয়ার্ডে বিভিন্ন জায়গায় তাণ্ডব চলে। এখানে কারোর বাড়িতে ভাঙচুর করা হয় আবার কারোর বাড়িতে লুটপাট করা হয়।

Advertisement

অর্জুন সিং ছাড়াও আক্রান্ত প্রাক্তন কাউন্সিলার সোহমপ্রসাদ চৌধুরী বলেছেন, “তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা সবাই মুখে কাপড় বেঁধে অন্ধকারে তাণ্ডব চালাচ্ছে। তাদের চিহ্নিত করা গেছে।” অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের ফলের ওপর ভরসা করে অর্জুন সিং চেয়েছিল তার লোকসভা এলাকার সাতটি বিধানসভা এলাকাতেই বিজেপি জয়লাভ করবে। কিন্তু বাস্তবে মাত্র দুটি বিধানসভা কেন্দ্রে জয়লাভ করেছে বিজেপি। সেগুলি হল জগদ্দল এবং ভাটপাড়া। এই মুহূর্তে অর্জুন সিং এর ইস্তফা দেয়ার বক্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে বঙ্গ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

Recent Posts