বন্ধ করা হল গেরুয়া শিবিরের দরজা, সাফ জানিয়ে দিলেন কৈলাস

কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) জানান যে আর এখন বিজেপিতে কোনও নতুন নেতাকে নেওয়া হবেনা। নেওয়া হবে ভোটের পর

Advertisement

Advertisement

অবাধ আগমন চলছিল এতদিন। এইবার ভোটের আগে নিজেদের দলের দরজা বন্ধ করে দিল রাজ্য গেরুয়া শিবির। ভোটের আগে আর অন্য দল থেকে দলে কাউকে নেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বাংলার গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে। এই কথা সম্প্রতি স্পষ্ট করে দিয়েছেন বাংলার বিজেপি পর্যবেক্ষক তথা বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya)। দল এবং সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে দল থেকে গেরুয়া শিবিরে যোগদান, মানুষের জন্য কাজ করতে চাওয়্যার তাগিদ। এই ফর্মুলা মেনেই আগের কিছু মাস ধরে শাসক শিবির থেকে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করছিলেন বহু বিধায়ক মন্ত্রী এবং সাংসদ থেকে শুরু করে ছোট বড় নেতারা।

Advertisement

শাসক শিবিরের আর কতজন আসার পরিকল্পনা করছেন? এই জল্পনার মধ্যে দিয়েই বাংলার বিজেপি পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় তোপ দাগলেন। কৈলাস সাফ জানিয়ে দিয়েছেন,”নির্বাচনের আগে নতুন করে বিজেপিতে যোগদান আমরা বন্ধ রাখছি। আপাতত আর কাউকে দলে যোগদান করানো হবেনা।” যারা ইতিমধ্যেই গেরুয়া শিবিরে গিয়েছেন, তাদের তালিকা টাও খুব একটা কম নয়। শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বৈশালী ডালমিয়া, প্রবীর ঘোষাল, রথীন চক্রবর্তী, বনশ্রী মাইতি, বিশ্বজিত্‍ কুণ্ডু, সৈকত পাঁজা, দিপালী বিশ্বাস, সুকরা মুণ্ডা, শীলভদ্র দত্ত-সহ আরও অনেকেই আছেন সেই তালিকায়।

Advertisement

এইভাবে লকগেট খুলে দেওয়াটা বরাবরেই সংঘের পছন্দ নয়। সূত্র হতে জানা গিয়েছে, আগের মাসেই আরএসএসের তরফে বিজেপিকে জানানো হয়েছিল। দলের নীতি আদর্শের সাথে পরিচয় না করিয়ে, লোক নিলে তার দাম চোকাতে হতে পারে। এই সব খুব শীঘ্রই বন্ধ করতে হবে। এরপরও শনিবার রাজীব,বৈশালী-সহ একাধিক হেভিওয়েটদের দিল্লি নিয়ে গিয়ে বিজেপিতে যোগদান করিয়েছেন কৈলাসরা। অন্যদল থেকে আসা বিজেপি কর্মীরাই এখন নব্য বিজেপি। এদিকে অনেক জায়গাতেই পুরনো কর্মীদের সঙ্গে তাদের বনিবনা নেই। কোথাও কোথাও দু-পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষও বেধে যাচ্ছে বলে খবর। রাজনৈতিক মহলের খবর, পরিস্থিতি সামলাতেই এমন সিধান্ত নিয়েছে রাজ্য বিজেপি। বেনো জল আটকাত গেট বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন তারা। সেই কারণে ভোটের আগে নতুনদের এনে সংগঠন মজবুত কড়া সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন কিছু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক। কর্মীদের ক্ষোভও এতে অনেকটা কমবে বলে ধারণা বিজেপি মহলের।

Advertisement

Recent Posts