মমতার ওপর আস্থা রাখছেন গুরুং, তাহলে কি বাংলা ভাগ মেনে নিল তৃণমূল, পাল্টা অভিযোগ বিজেপির

Advertisement

Advertisement

কলকাতা: দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানর পর তিলোত্তমায় পা রেখেছেন বিমল গুরুং। গোর্খাল্যান্ড দাবিতে এই ব্যক্তির নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল। এতদিন বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল যে, বাংলা ভাগ করতে চেয়েছিল গেতুযা শিবির। কিন্তু গতকাল, বুধবার শহরে পা রেখে বিমল গুরুংয়ের বক্তব্যের পর পাল্টা তৃণমূলের দিকে এবার আঙুল তুলল বুজেপি। তাহলে কি রাজ্যের শাসক দল চাইছে বাংলা ভাগ হয়ে যাক? এই প্রশ্ন উঠেছে।

Advertisement

গতকাল এ প্রসঙ্গে বিমল গুরুং সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি রাখেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেন, তাই করেন। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াই করব। বিজেপিকে মোক্ষম জবাব দেব। এবারও মুখ্যমন্ত্রী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই।’

Advertisement

বিমল গুরুংয়ের এই বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে তৃণমূল-কংগ্রেস। রাজ্যের শাসক দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শান্তি রক্ষার স্বার্থে এবং বিমল গুরুংয়ের এনডিএ ছাড়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর আস্থা রাখার জন্য শাসক দলের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়েছে। কিন্তু এই বক্তব্যের পর বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু তৃণমূল-কংগ্রেসকে দ্কহাৎ নিয়েছেন।

Advertisement

সায়ন্তন বসু রাজ্যের শাসক দলকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘গুরুং নিজেই বললেন প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তার কথা রাখেননি। মুখ্যমন্ত্রী রাখেন। তাহলে কি গোর্খাল্যান্ডের দাবি মেনে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী? বিজেপি কোনওদিন বাংলা ভাগের দাবি মেনে নেয়নি। তাহলে মাত্র তিনটি আসনের জন্য পাহাড় বাংলার অংশ থাকবে না? এটা যদি হয়, তাহলে সেটা খুব দুর্ভাগ্যের বিষয়।’ এভাবেই শাসক দলকে একহাত নেন সায়ন্তন।

Recent Posts