Atal Pension Yojana: ৭ টাকা প্রতি দিন দিয়ে বছরে পান ৬০ হাজার টাকা, জানুন কী করে

অটল পেনশন যোজনা: ১ বছরে পাবেন ১১% রিটার্ন, জেনে নিন বিস্তারিত

Advertisement

Advertisement

দেশের অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মচারীদের জন্য কয়েক বছর আগে ‘অটল পেনশন যোজনা’ (Atal Pension Yojana) চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এটি তহবিল নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা পিএফআরডিএ দ্বারা জাতীয় পেনশন সিস্টেমের (এনপিএস) অধীনে পরিচালিত হয়। অটল পেনশন প্রকল্পের আওতায় গ্রাহকরা ৬০ বছর বয়সের পরে একটি স্থির পরিমাণ পেনশন পান।

Advertisement

আঅটল পেনশন যোজনা বা এপিওয়াই একটি মিনিমাম গ্যারেন্টেড সরকারি পেনশন প্রকল্প। গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে, অন্য সমস্ত পেনশন প্ল্যানের তুলনায় বাজারে অনেক ভালো ফল করেছে অটল পেনশন যোজনা। বিগত এক বছর ধরে এই প্রকল্প ১১ শতাংশের বেশি রিটার্ন দিয়েছে।

Advertisement

অটল পেনশন যোজনার এমন আকর্ষক ফলাফল আরও কয়েকটি প্রশ্নের জন্ম দেয় গ্রাহকদের মনে। এর ফলে গ্রাহকদের কি লাভ হবে? তাঁদের পেনশনের অঙ্ক কি বাড়তে পারে? এই যোজনা অনুসারে কোনও ব্যক্তি প্রতি মাসে অল্প কিছু টাকা জমা দিলে ৬০ বছর বয়সের পরে আজীবন মাসে ন্যূনতম ১,০০০ টাকা থেকে ৫,০০০ টাকা করে নিশ্চিত পেনশন পাবেন। কোন বয়সের গ্রাহকদের নির্দিষ্ট অংকের পেনশনের জন্য কত টাকা জমা দিতে হবে, তা প্রকল্পে স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে। তবে কিন্তু ওই প্রকল্প বাজার থেকে বেশি আয় করায় তার সুফল গ্রাহকদের লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা। কারণ আয় করা অতিরিক্ত অর্থ গ্রাহকদের বর্ধিত সুযোগ সুবিধা হিসেবে দেওয়া হতে পারে।

Advertisement

এই যোগনার অধীনে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ―

*আপনাকে ভারতীয় নাগরিক হতে হবে।

*আপনার বয়সসীমা ১৮-৪০ -এর মধ্যে হতে হবে।

*বৈধ আধার নম্বর এবং ফোন নম্বর থাকতে হবে।

*একটি বৈধ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।

‘পেনশন ফান্ড রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অথরিটি’ বা পিএফআরডিএ (PFRDA) -এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ‘ন্যূনতম নিশ্চিত পেনশনের জন্য গ্রাহকরা একটি নির্দিষ্ট টাকা জমা দিচ্ছেন। যদি দেখা যায় তাঁদের ন্যূনতম নিশ্চিত পেনশন দিতে গিয়ে যে খরচ হবে তার তুলনায় বাস্তবে বেশি আয় হলে অতিরিক্ত অর্থ গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে যুক্ত হবে। ফলে গ্রাহকরা এই প্রকল্পের অতিরিক্ত সুযোগ সুবিধা পাবেন।’ আর কোনও ভাবে অটল পেনশন যোজনা বাজারে খারাপ ফল করলে গ্রাহকদের ন্যূনতম নিশ্চিত পেনশন দিতে গিয়ে যে খরচ হবে তার তুলনায় বাস্তবে কম আয় হলে ঘাটতির অর্থ সরকার দেবে। অর্থাৎ গ্রাহকরা কোনও অবস্থায় নির্দিষ্ট ন্যূনতম অর্থের থেকে কম রিটার্ন পাবেন না।