“খুনের রাজনীতি শুরু করেছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। একজন মন্ত্রী কি করে এই ধরণের রাজনীতি করতে পারেন।” বাবু মাস্টারের ওপর হামলার ঘটনায় এমনটাই বলতে শোনা গেল গেরুয়া শিবিরের নেতা অর্জুন সিং (Arjun Singh) কে। অর্জুন এইদিন অভিযোগ আনেন,”পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। পুলিশ ফাঁড়ির সামনেই খুনের চেষ্টা চলেছে, কিন্তু পুলিশের ভূমিকা দর্শকের থেকে কম নয়।” এইদিন অর্জুন দাবি করেছেন,”একজন মুসলিম যিনি বিজেপির সাথে কাজ করতে চাইছেন, তাকে খুনের চেষ্টা করা হচ্ছে।”
একই সাথে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে সাংসদ অর্জুন সিংকে। গেরুয়া শিবিরের নেতা এইদিন বলেন,”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন ভাবেই হোক ক্ষমতায় থাকতে চান। এমনকি মানুষ খুন তথা বাড়িতে আগুন লাগানোর মতো ঘটনাতেও কিছু যায় আসেনা তার। আমরাও দেখতে চাইছি, কতদিন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের খুনের রাজনীতি চলে। কিছুদিনের মধ্যে নির্চাচনের দিন ঘোষণা করা হবে। তার পরেই চালু হবে নির্বাচনী বিধি। মানুষ জবাব দেবেন।”
প্রসঙ্গৎ উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেছিলেন ফিরোজ কালাম গাজি ওরফে বাবু মাস্টার নামের এক ব্যক্তি। শনিবার বসিরহাটে সাংগঠনিক বৈঠক সেরে কলকাতা যাচ্ছিলেন নেতা। সেই সময় মিনাখা থানার কাছে লাউহাটি মোড় এলাকায় পৌঁছাতেই তার গাড়িকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা চালায় গুলি। বোমাবাজিও করা হয়েছে বলে উঠেছে অভিযোগ। এই বোমাবাজির ফলে গুরুতর জখমও হন তিনি। ক্ষতির সম্মুখীন হয় তার গাড়িও। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পৌঁছায় পুলিশ।। স্থানীয় বাসিন্দারা এবং পুলিশ উদ্যোগ নিয়ে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তাকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন।
সূত্র হতে জানা গিয়েছে, নতুন করে এই এলাকায় আবারও ছড়াতে পারে অশান্ত। সেই কারণে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বহু পুলিশ। কে বা কারা রয়েছেন এই কাজের পিছিনে? রাজনৈতিক কারণে এই আক্রমণ। নাকি এর পিছনে লুকিয়ে আছে অন্য কোনও রহস্য, সেই বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে তদন্তকারীদের পক্ষ থেকে। অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারাও।