Categories: দেশনিউজ

ফের যৌন হেনস্থার অভিযোগ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে, বিস্ফোরক মন্তব্য অ্যামি ডরিসের

Advertisement

Advertisement

আমেরিকাঃ এবার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনলেন প্রাক্তন মডেল অ্যামি ডরিস। ১৯৯৭ সালে তাঁকে যৌন নিগ্রহ করেছেন বলে অভিযোগ জানিয়েছেন অ্যামি ডরিস। নভেম্বর মাসেই নির্বাচন, জোরকদমে চলছে ডেমোকক্র্যাট আর  রিপাবলিকানদের প্রস্তুতি। জো বিডেনের বিরুদ্ধে রিপাবলিকান পার্টির তরফে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম ঘোষণা হয়েছে ৷ কিন্তু একের পর এক ঘটনার জন্য বার বার শিরোনামে আসছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার মাঝেই বিতর্ক যেন আর পিছুই ছাড়ছে না ডোনাল্ড ট্রাম্পের। কিছুদিন আগেই ডোনল্ড ট্রাম্প তার প্রতিপক্ষ কমলা হ্যরিসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, মানুষ ওঁকে পছন্দ করেন না। কেউ ওঁকে পছন্দ করেন না।

Advertisement

উনি কোনওদিনই আমেরিকার প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট হতে পারেন না। এমনটা হল আমাদের দেশের সম্মান নষ্ট হবে। তার আগে নিজের দেশেরই সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষোভ উগড়ে বলেন, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাতা সংস্থাগুলির স্বার্থরক্ষা করতেই সবসময় যুদ্ধের হিরিক তোলে আমেরিকার সেনাবাহিনী৷

Advertisement

উল্লেখ্য এদিন অ্যামি “দ্য গার্ডিয়ান”কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পকে ‘অসুস্থ’ ও ‘হিংসাত্মক’ বলেন। তিনি জানান, “১৯৯৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ইউএস ওপেন টুর্নামেন্ট চলাকালীন ভিআইপি বক্সের বাথরুমের সামনে আমার উপর হামলে পড়েন ট্রাম্প। আমার বয়স তখন ২৪ বছর। আমাকে জড়িয়ে ধরেন শক্ত করে, এরপর আমাকে চুমু খাওয়ার চেষ্টা করেন। আমার নিতম্ব, আমার বুক সব কিছুই ছুঁয়ে যাচ্ছিলেন ট্রাম্প। এতটাই শক্ত করে ও আমাকে ছুঁয়ে যাচ্ছিল যে, আমি শত চেষ্টাতেও ছাড়াতে পারিনি”।

Advertisement

শুধু অ্যামিই নয়, এর আগে গত নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন পর্নস্টার স্টর্মি ড্যানিয়েলস। ২০০৬ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। পরে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলারের একটি চুক্তির মাধ্যমে তারা সম্পর্ক শেষ করে।  কিন্তু সেসব কিছুই পরে বেমালুম অস্বীকার করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এরপর মুখ খোলেন পর্নস্টার জেসিকা ড্রেক। তিনি জানান, ক্যালিফোর্নিয়ার লেক তাহোতে একটি গল্ফ টুর্নামেন্ট চলছিল। সেখানে জেসিকার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ট্রাম্প তাঁকে এবং অন্য আরও দু’জনকে জড়িয়ে ধরেন এবং জোর করে চুম্বন করেন। সব মিলিয়ে যত দিন আসছে ততোই ঘনীভূত হচ্ছে ট্রাম্প বিরোধী ক্ষোভ। যার থেকে বোঝার জো নেই আসন্ন নির্বাচনে ট্রাম্পের অস্তিত্ব বজায় থাকবে কি থাকবে না।