দেশ

ভাড়া মাত্র ৩৫ টাকা, সবাইকে পাশ কাটিয়ে ছুটবে জনসাধারণের ট্রেন, ভারতীয় রেলের ‘অমৃত’ ব্যবস্থা

Advertisement

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৩০ ডিসেম্বর অযোধ্যা সফরকালে দুটি নতুন অমৃত ভারত ট্রেন, দ্বারভাঙ্গা-অযোধ্যা-আনন্দ বিহার টার্মিনাল অমৃত ভারত এক্সপ্রেস এবং মালদা টাউন-স্যার এম বিশ্বেশ্বরায়া টার্মিনাস (বেঙ্গালুরু) অমৃত ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেন। জাফরান রঙে আঁকা অমৃত ভারত ট্রেনগুলি সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, যাত্রীদের সুবিধা ও স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য অনেক নতুন সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে। জেনে নিন অমৃত ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনে কী কী স্পেশাল থাকবে।

Advertisement

পুশ অ্যান্ড পুল প্রযুক্তিতে চলবে অমৃত ভারত ট্রেন। পুশ-পুল প্রযুক্তির অর্থ ট্রেনটিতে দুটি ইঞ্জিন রয়েছে, একটি সামনে এবং অন্যটি শেষে। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, “ট্রেনে ‘পুশ-পুল’ প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বেশ কয়েকটি পরিবর্তন করা হয়েছে, যা গতি ত্বরান্বিত করতে এবং গতি হ্রাস করতে সহায়তা করে। এটি বাঁক এবং অন্যান্য জায়গায় যেখানে ট্রেনগুলি কম গতিতে রয়েছে সেখানে সময় সাশ্রয় করতে সহায়তা করবে।’

Advertisement

Advertisement

অমৃত ভারত ট্রেন যদি দিল্লি থেকে কলকাতার মধ্যে চলে, তবে প্রচলিত ট্রেনের তুলনায় দূরত্ব অতিক্রম করতে প্রায় দুই ঘন্টা কম সময় লাগবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই নতুন পরিষেবা শুরু করার পর চার থেকে পাঁচ মাস স্বাভাবিকভাবে ট্রেন চালানো হবে এবং কোনও প্রযুক্তিগত সমস্যা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। এরপর প্রতি মাসে এই মডেলের ২০ থেকে ৩০টি ট্রেন প্রস্তুত করা হবে। ট্রেনগুলিতে সাধারণ ক্লাস থেকে দ্বিতীয় এসি পর্যন্ত ব্যবস্থা থাকবে। ‘সেমি-কাপলার’ প্রযুক্তির সাহায্যে অমৃত ভারত ট্রেনগুলি সর্বোচ্চ ১৩০ কিলোমিটার গতিতে চলবে।

ভ্রমণের সময় মানুষ যাতে কোনও ধাক্কা অনুভব না করে তাও নিশ্চিত করা হয়েছে। এজন্য ব্যবহার করা হয়েছে ‘সেমি-কাপলার’ প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তি দুটি কোচকে এমনভাবে সংযুক্ত করতে সহায়তা করে যাতে ট্রেন চালানো এবং থামানোর ধাক্কা যাত্রীদের প্রভাবিত না করে। রেলবোর্ড জানিয়েছে, অমৃত ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনে এক কিলোমিটার থেকে ৫০ কিলোমিটার গন্তব্যে রিজার্ভেশন ফি এবং অন্যান্য চার্জ বাদে ন্যূনতম ভাড়া ৩৫ টাকা।