ট্যাটু আর্টিস্ট হিসাবে কাজ করে মৌলবাদীদের রোষের মুখে আমির কন্যা ইরা খান

Advertisement

Advertisement

কিছুদিন আগেই অভিনেতা আমির খানের কন্যা ইরা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন যাতে দেখা যাচ্ছে,তিনি খুব মন দিয়ে কোনো কাজের অনুশীলন করছেন।তিনি সবাইকে অনুমান করতে বলেছিলেন যে,কাজটা আসলে কি ! এই ছবি পোস্ট করার কিছু দিনের মধ্যেই ট্যাটু আর্টিস্ট হিসাবে ইরা কাজ শুরু করেন। প্রথম ট্যাটুটি তিনি করেছেন নুপুর শিখারে নামে এক ব্যক্তির হাতে।সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ইরা বলেন যে,তিনি তাঁর প্রথম ট্যাটুটি করে ফেলেছেন ।এছাড়াও নুপুর শিখারেকে ইরা ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁর উপর বিশ্বাস রাখার জন্য,তাঁকে ট্যাটু আর্টিস্ট হিসাবে ভরসা করার জন্য। ইরার মতে,তাঁর করা প্রথম ট্যাটুটি খুব খারাপ হয়নি এবং তিনি এই পেশাকে তাঁর বিকল্প হিসাবে বাছতেই পারেন।এদিকে এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার ফলে মৌলবাদীদের রোষের মুখে পড়তে হয় ইরাকে।কয়েকজন নেট-নাগরিক তাঁকে বলেন যে,ইরা কি একজন মুসলিম হয়ে জানেন না,ইসলামে এটা হারাম!এক মৌলবাদী লেখেন যে,কিছু লোকজন নিজের নামের পরে খান,পাঠান,সঈদ,হাশমি লিখলেও তাঁরা আদৌ মুসলিম নন।

Advertisement

লক্ষ্য করে দেখা গেছে,যেসব প্রোফাইল থেকে এইসব কমেন্টস করা হয়েছে,তাঁদের কয়েকজন মহিলা এবং কিছু প্রোফাইলের প্রোফাইল পিকচার রীতিমত মডেলোচিত।এই প্রোফাইলগুলি ফেক কিনা তা নিয়েও প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে। তবে এই সমালোচনার ভিড়ে কয়েকজন ইরার কাছে ট্যাটু করার বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। ফলে,এটা বোঝা যাচ্ছে,করোনা পরবর্তী সময়ে অনেকেই বিকল্প হিসাবে অন্য পেশা বেছে নিতে পারেন। নেটিজেনদের একাংশ ইরার তৈরী করা ট্যাটুর রীতিমত প্রশংসা করেছেন। এত রোষের মধ্যে পড়েও ইরা কিন্তু নিজের ‘এক্সপেরিমেন্ট’ থেকে বিরত থাকেননি।

Advertisement

প্রসঙ্গত,কিছুদিন আগে বলিউডে স্বজন-পোষণের অভিযোগ প্রবল হয়।কিন্তু ইরার মত এমন কিছু তারকা-সন্তানও রয়েছেন,যারা নিজের রাস্তা নিজেই বানিয়ে নিতে জানেন। এর আগেও অনেক তারকা-সন্তান প্রচারের আলো থেকে দূরে থেকেছেন। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে এখন নিজেদের সাফল্যের কথা শেয়ার করতে পছন্দ করেন সবাই। ইরাও এমনটাই করেছেন। পারফেকশনিস্ট আমির খানের মেয়ের পরিচয়ের বাইরে বেরিয়ে আপাতত নিজের অস্তিত্ব তৈরী করতে ব্যস্ত ইরা।

Advertisement

Recent Posts