শ্রেয়া চ্যাটার্জি – ইতিমধ্যেই উত্তরপাড়া থেকে হাওড়া ব্রিজ দেখার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হয়েছে। যিনি ক্যামেরাবন্দি করেছেন তাকে সত্যি কুর্ণিশ জানাতে হয়। তবে বায়ুদূষণ কমছে বলে অনেকে আবার বিষয়টিকে নিয়ে মজাও করেছেন তারা মজা করে বালি ব্রিজের পাশে বুর্জ খলিফার ছবি লাগিয়ে দিয়েছেন, অথবা নৈহাটি স্টেশনের পাশে থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার ছবি সেঁটে দিয়েছেন আর উল্লেখ করেছেন বায়ুদূষণে এতটাই কমে গেছে যে তাতে এমন সব আজগুবি ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। এ নিয়ে হয়তো তারা মজা করেছেন, হয়তো কেন বায়ুদূষণ এতটাও কমেনি যে দেশের সীমানা ভেদ করে কোন জিনিস আমাদের চোখের সামনে আসবে।
কিন্তু জলন্ধর থেকে পরিস্কার দেখা যাচ্ছে হিমাচল প্রদেশের পর্বতশ্রেণী। ৯১ টি শহরে বায়ু দূষণ একেবারে কমেছে এমনটাই জানাচ্ছে সমীক্ষা। ধাউলাধার পর্বতশ্রেণী দেখা যাচ্ছে পাঞ্জাবের জলন্ধর থেকে। এই পাহাড়টি পাঞ্জাব থেকে প্রায় দু’শো কিলোমিটার দূরে, ৩০ বছর পরে এটি চোখের সামনে দেখা যাচ্ছে।
চোখের সামনে এমন অপূর্ব দৃশ্য আপনার মনকে সব সময় ভালো করে দেবে। করোনা ভাইরাস কে মনে মনে ধন্যবাদ জানাতে ইচ্ছা করছে। করোনা ভাইরাস কেড়ে নিয়েছে অনেকের প্রাণ। অনেকেই ঘরের মধ্যে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন, কাল বাঁচবো কি বাঁচবো না এই প্রশ্ন প্রত্যেকের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। তার সত্বেও করোনা ভাইরাস আমাদের দিয়েছে অনেক কিছু। পরিবেশ দূষণ একেবারে এক ধাক্কায় অনেকটা কমিয়ে দিয়েছে। যার ফলে প্রকৃতি সেজে উঠেছে নিজে রূপে।
সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা প্রায়শই দেখতে পাচ্ছি প্রকৃতির এবং প্রাণীদের নানান রূপ, যা আমরা আগে কখনো দেখিনি। আসলে মানুষের অত্যাচারে প্রকৃতি এবং প্রাণীরা সব গুটিয়ে ছিল এতদিন। যেই মানুষগুলো ঘরের মধ্যে বন্দি হয়ে পড়েছে, অমনি তারা তাদের রূপ দেখাতে শুরু করেছে। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে, আমরা মানুষরা এদের উপর এতদিন কত অত্যাচার করেছি। যার ফল কিন্তু আমরাই ভোগ করেছি, এমন সুন্দর পৃথিবী কে আমরা বহুদিন দেখি না। জীবজন্তু আমাদের ভয়ে এতদিন আমাদের থেকে অনেক দূরে থাকত। করোনা পৃথিবী থেকে চলে যাক, এই আমরা প্রার্থনা করি। কিন্তু আমরা চাই এই করোনা ভাইরাস এর ভয়ে গোটা বিশ্ব যেমন আতঙ্কিত হয়ে রয়েছে করোনা যেন তার এই ভয় টাকে মানুষের মধ্যে রেখে যেতে পারে। যাতে করে মানুষ আর শুধুমাত্র নিজের উন্নতির জন্য পরিবেশ এবং এই প্রাণীকুলের উপরে পাশবিক আচরণ না করে।