এদিন বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, করোনার রুগীর জন্য ৭৯০ টি শয্যা রয়েছে কলকাতার হাসপাতালগুলিতে। তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্ত হলে হসপিটালে শয্যা পাওয়া যাচ্ছে না বলে যারা দাবি করছেন তা নিতান্তই গুজব। কলকাতার হাসপাতালগুলিতে এখনও মোট ৭৯০টি বেড রয়েছে। তাই আশঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। এদিকে রাজ্যে মঙ্গলবার পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২।
রাজ্যের তরফে গত সোমবার ঘোষণা করা হয়েছে, যারা কোভিড-১৯ রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন তাঁরা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে পারবেন। তবে স্থানীয় সরকারি হাসপাতালের ডাক্তারের পরামর্শে বাড়িতে স্বেচ্ছায় বিচ্ছিন্ন থাকতে পারবেন তাঁরা। এছাড়া মাস্ক পরে বাড়ির বাইরে বেরোতে হবে। সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। মুখ্যসচীব রাজ্যের সমস্ত বেসরকারি হাসপাতাল গুলিকেও অনুরোধ করেছেন সেখানেও যাতে করোনার রুগীর চিকিৎসার সুব্যবস্থা করা হয়।
অপরদিকে করোনায় গোটা দেশ লক ডাউন হয়ে যাওয়ার ফলে রাজস্থানের কোটায় আটকে পড়ে রাজ্যের প্রায় ২৫০০ থেকে ৩০০০ পড়ুয়া। তাঁদের ফিরিয়ে আনার জন্য আগেই বিশেষ বাসের কথা ঘোষণা করেছিলেন মমতা। সেই কথাও রাখলেন তিনি। জানা গিয়েছে, ১০১ টি বাসে করে ওই পড়ুয়ারা রাজ্যে ফিরবেন তিনটি জোনের মাধ্যমে। আগামী তিন দিনের মধ্যে রাজ্যে ফিরবেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, আগামী সোমবার রাজ্যের যেসব অঞ্চল গ্রিন জোন ও অরেঞ্জ জোনের আওতায় রয়েছে সেখানে কিছু দোকানপাট খোলা যাবে। তবে নিয়ম লঙ্ঘন করলে তৎক্ষনাৎ অনুমতি ফিরিয়ে নেওয়া হবে। আগামী ২১শে মে পর্যন্ত রাজ্যের মানুষকে সচেতন থাকতে হবে বলেও জানিয়েছেন মাননীয়া।