তিনটি এফআইআর দায়ের নড্ডার ওপর হামলাকে ঘিরে, গ্রেফতার করা হয়েছে ৭ জনকে

Advertisement

Advertisement

বৃহস্পতিবার তথা কাল বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার ওপর হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে দায়ের করা হয়েছে তিনটি এফআইআর। পুলিশ কর্তৃপক্ষ থেকে তার মধ্যে দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তৃতীয় এফআইআরটি দায়ের করা হয়েছে বিজেপি নেতা রাকেশ সিংহের বিরুদ্ধে।

Advertisement

এই ঘটনায় এখনও সাত জনকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশ। এইদিন বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার কনভয়ের ওপর হামলার অভিযোগে দুটি অজ্ঞাত ব্যক্তিদের ওপর দায়ের করা হয়েছে এফআইআর। মামলা দায়ের করেছে বঙ্গ পুলিশ। অন্যদিকে শিরাকোল এবং দেবীপুর মোড়ের দায়িত্বে আছেন বিজেপি নেতা রাকেশ সিংহ। সেই সময় কনভয়ে আক্রমণ চালায় একদল দুষ্কৃতী। এমনটাই অভিযোগ করা হয়েছে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে। তবে দলনেতা রাকেশ সিংহের অনুগামীদের ওপরও হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ এনেছে বিজেপি কর্তৃপক্ষ। তবে তৃতীয় এফআইআরটি দায়ের করা হয়েছে বিজেপি নেতা রাকেশ সিংহের বিরুদ্ধেই।

Advertisement

প্রসঙ্গত, সর্বভারতীয় বিজেপির সভাপতি জেপি নড্ডার ডায়মন্ড হারবারে কর্মসূচি নয়ে চলেছে ধুন্ধুমার কাণ্ড। এইদিন দুপুরে ডায়মন্ডহারবারে রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে গিয়েছিলেন সর্বভারতীয় বিজেপির সভাপতি। কিন্তু যেখানে যাওয়ার পথে একাধিক স্থানে আটকানো হয় তার কনভয়। বিজেপি নেতৃত্বের কনভয়ের ওপর হামলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে। আটকানো হয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার গাড়ি। কনভয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে অন্য বিজেপি নেতাদের গাড়ি। এমনটাই এইদিন অভিযোগ তুলেছে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে বাংলার বিজেপি পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় এর গাড়িতে হামলার ঘটনাও এইদিন ঘটেছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে, ইট পাথর ছুঁড়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের গাড়ির কাচ। ভাঙচুর করা হয়েছে অনুপম হাজরার গাড়িতেও।

Advertisement

ডায়মন্ডহারবারের সুলতানপুরে বৃহস্পতিবার সাংগঠনিক সভা করতে যাচ্ছিলেন বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা। অন্যদিকে এইদিন যাত্রাপথে শিরাকোলে সভা চলছিল বাংলার শাসক শিবিরের অর্থাৎ তৃণমূলের। অভিযোগ উঠেছে, নড্ডার কনভয় শিরাকোল মোড়ে পৌঁছাতেই তাদের ওপর চড়াও হয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা এবং সমর্থকেরা। আটকে দেয়া হয়েছে বিজেপি সভাপতি নড্ডার গাড়ি। কেবল তার গাড়িই নয়। আটকে দেওয়া হয়েছে মুকুল রায় , কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং অনুপম হাজরার গাড়িও।

বেশ কিছুক্ষণ আটকে রাখা হয় তার গাড়ি। তারপর জেপি নড্ডার গাড়ি ছাড়া হয়েছে পুলিশের মধ্যস্থতায়। অন্যদিকে নড্ডার গাড়ি বেরিয়ে যেতেই আরও ঘোরালো হয়ে ওঠে অবস্থা। বিজেপি কর্মী সমর্থক এবং তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে বেঁধে যায় ধুন্ধুমার। অভিযোগ, শাসক শিবিরের কর্মীরা হামলা করেছে কনভয়ের বাকি গাড়ি গুলির ওপরে। বিজেপি সূত্র থেকে অভিযোগ, খুবই কম পুলিশ মোতায়েন ছিল সেখানে। ঘটনা ঘটেছে পুলিশের সামনেই।