দিল্লি সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা ১৮, পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে অমিত শাহ ও অজিত ডোভাল

Advertisement

Advertisement

উত্তর-পূর্ব দিল্লির সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮-তে। দিল্লির গুরু তেগ বাহাদুর (জিটিবি) হাসপাতালের এক কর্মকর্তা বুধবার সকালে জানিয়েছেন যে আরও চার জনকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে। আহত সংখ্যা ২৫০ ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে জানা গেছে।

Advertisement

নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইন বা সিএএ বিরোধী ও সমর্থকরা একে অপরের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ায় সোমবার দুপুর থেকে রাজধানীর পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করে। দু পক্ষই তরোয়াল, পাথর ও অন্যান্য অস্ত্র নিয়ে দাপিয়ে বেড়ায় রাজধানীতে। মৌজপুর, জাফরাবাদ ও অন্যান্য অঞ্চলের বাড়িঘর ও যানবাহনে আগুন দিয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার আবারও সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষ এবং তা আশেপাশের অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আলোচনার জন্য সাক্ষাত করেছিলেন তার ঠিক ১ কিলোমিটারের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে হিংসার ঘটনা। সংঘর্ষ ঠেকাতে একাধিক বৈঠক করে কেন্দ্র ও দিল্লি প্রশাসন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভাপতিত্বে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঘটনার পর্যালোচনা জন্য তিনটি বৈঠক হয়। দিল্লি পুলিশকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রয়োজনে আরও পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দেন তিনি।

Advertisement

আরও পড়ুন : মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও পড়ুয়াদের, বিক্ষোভকারীদের আটক করল পুলিশ

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) অজিত দোভাল ও দিল্লি পুলিশের প্রধান অমূল্য পট্টনায়েক মঙ্গলবার গভীর রাতে সিলামপুরে উত্তর-পূর্ব দিল্লির ডিসিপি বেদ প্রকাশ সূর্যের কার্যালয়ে যান। এনএসএ অজিত দোভাল অমূল্য পট্টনায়েক এবং অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে পরিস্থিতির পর্যালোচনা করার জন্য মৌজপুর, জাফরাবাদ, গোকুলপুরী এবং ভজনপুরাতেও যান।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলের কর্মকর্তা ও বিধায়কদের সাথে জরুরি বৈঠক করেন। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির সাথে সমন্বয় সাধন এবং হিংসাত্মক ঘটনার অবসান ঘটাতে নির্দেশ দেন তিনি। তিনি প্রতিবাদকারীদের উত্তেজিত না হয়ে শান্ত হওয়া এবং তাদের দাবিগুলি নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানান।