ঘোষণা হয়নি ভোটের দিনক্ষণ, তার আগেই আজই রজ্যে মোতায়েন ১২ কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী

Advertisement

Advertisement

কলকাতা: শিয়রেই বিধানসভা ভোট নির্বাচন। যার কারণে থেকে থেকেই সরগরম হয়ে উঠছে রাজনৈতিক পরিবেশ। রাজনৈতিক দলগুলি একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার জন্য নতুন নতুন স্ট্র্যাটেজি সাজিয়ে চলেছে একের পর এক। এখন অধীর আগ্রহে শুধু অপেক্ষা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার জন্য। কয় দফায় কবে কবে ভোট, তা জানতেই উত্সুক এখন আম আদমি থেকে রাজনৈতিক মহল। এবার রাজ্যে এল ১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। শনিবার সকালে দুর্গাপুরে পৌঁছেছে দুই কোম্পানী সিআইএসএফ কর্মী।  তাঁদের পাঠানো হবে বাঁকুড়া ও বীরভূমে। চলতি মাসে ধাপে ধাপে মোট ১২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে রাজ্যে।

Advertisement

জম্মু-কাশ্মীর থেকে স্পেশাল ট্রেনে বাংলায় আসছে এই ১২ কোম্পানি আধাসেনা। দুর্গাপুর ছাড়াও বর্ধমান স্টেশন, কলকাতা স্টেশন ও ডানকুনি স্টেশনে আধাসেনা নামার কথা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে এই ১২ কোম্পানি বাহিনী বিধাননগর, বারুইপুর, ডায়মন্ড হারবার, ব্যারাকপুর, হাওড়া, হুগলি গ্রামীণ, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া গ্রামীণ, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান ও বাঁকুড়ায় মোতায়েন করা হবে।  সব জায়গাতেই আপাতত ১ কোম্পানি করে বাহিনী মোতায়েন করা হবে। সেখান থেকে তাঁরা নির্দিষ্ট লোকেশনে পৌঁছে যাবে। এরপরই আজ বিকেল অথবা রবিবার সকাল থেকেই স্থানীয় পুলিস প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে আধাসেনা জওয়ানরা এরিয়া ডমিনেশন বা কনফিডেন্স বিল্ডিংয়ের কাজ শুরু করবে।

Advertisement

জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়ায় মোতায়েন করা হবে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বাহিনী, ৯ কোম্পানি করে। ৬ কোম্পানি বাহিনী থাকবে শিলিগুড়িতে। হুগলি ও হাওড়ায় থাকবে ৪ কোম্পানি করে বাহিনী। ৫ কোম্পানি করে থাকবে বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, বারাকপুর, চন্দননগর, মালদহ, মুর্শিদাবাদে। দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, কৃষ্ণনগর, কলকাতা, বারাসত, পূ্র্ব বর্ধমান, বাঁকুড়ায় থাকবে তিন কোম্পানি করে। ২ কোম্পানি করে বাহিনী মোতায়েন করা হবে সুন্দরবন, ডায়মন্ড হারবার, বারুইপুর, বিধাননগর, বসিরহাট, বনগাঁ, হাওড়া গ্রামীণ, রানাঘাট, জঙ্গিপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, রায়গঞ্জ, ইসলামপুর, আলিপুরদুয়ারে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোটে শাসকদলের বিরুদ্ধে হিংসা-সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব হয়েছে সব পক্ষ। এবার বিধানসভা ভোট। চলতি বছরের বিধানসভা নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আইনশৃঙ্খলা। তা মানছেন দিল্লির নির্বাচন কমিশনের কর্তারাও। কমিশনের ফুল বেঞ্চ ইতিমধ্যেই রাজ্যের পরিস্থিতি পরিদর্শন করে গিয়েছে তিনদিনের সফরে এসে। সেসময় তারা জানান নিয়ম মেনেই বাহিনী মোতায়েন করা হবে। ধাপে ধাপে সেই সংখ্যা বাড়ানো হবে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রবেশ করতে শুরু করেছে রাজ্যে। আপাতত কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাজ সীমান্তবর্তী এলাকায় টহলদারি, রুট মার্চ। এই নির্বাচন স্বচ্ছ ও অবাধ করার লক্ষ্যে নির্বাচনের কমিশনের কাছে ইতিমধ্যেই দ্বারস্থ হয়েছে বিরোধীরা।

Recent Posts