চন্ডীতলায় তৃণমূলের প্রচারে দেব, মধ্যাহ্নভোজের আহ্বান বিজেপি প্রার্থী যশের

নির্বাচনী প্রচারে চন্ডীতলায় স্বাতী খন্দকারের হয়ে প্রচারে গেছিলেন দেব

Advertisement

Advertisement

একটা সময় ছিলেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রির সবথেকে বড় তারকা। তার প্রত্যেকটি ছবি সুপারহিট। তারপর সেখান থেকে সোজা চলে এলেন রাজনীতির ময়দানে। অনুপ্রেরণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর, অনেক মানুষের বিরোধিতা এবং কটুক্তি সত্বেও নিজেকে প্রমাণ করলেন একজন পোক্ত রাজনীতিবিদ হিসেবে। পরপর দুবার ঘাটাল থেকে হলেন সাংসদ। তার সঙ্গেই, রচনা করে দিলেন একটি নতুন ইতিহাস। ঠিকই ধরেছেন, তিনি আর কেউ নন বাঙালির হার্টথ্রব তথা সুপারস্টার দীপক অধিকারী ওরফে দেব।

Advertisement

শুধুমাত্র যে নিজের কেন্দ্রের জন্য লড়াই করছেন দেব সেরকম কিন্তু না, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য অন্যান্য বেশ কয়েকটি কেন্দ্র থেকে প্রচার করছেন জোরকদমে দীপক অধিকারী। নির্বাচনী উত্তাপ এর মাঝে সৌজন্যে রক্ষায় তার জুড়ি মেলা ভার। প্রত্যেক দলের নেতা এবং মন্ত্রীদের সঙ্গে সৌজন্য রক্ষা করে চলা, আবার দরকারে তাদের কটাক্ষের মোক্ষম জবাব দেওয়া বেশ নজরকাড়া। তার সেরকমই কিছু নমুনা এদিন দেখা গেল আবার তার টুইটার প্রোফাইলে তার করা বেশ কিছু টুইটে।

Advertisement

এদিন বিজেপি প্রার্থী যশ দাশগুপ্ত এবং একইসঙ্গে তারকা বিজেপি সদস্য বনি সেনগুপ্ত কে একহাত নিলেন তৃণমূলের দেব। বেশ কয়েকদিন হল যশ দাশগুপ্ত এবং বনি সেনগুপ্ত বিজেপিতে যোগদান করেছেন। দেব তাদের থেকে অনেকটা বেশি সিনিয়র হলেও রাজনীতির ময়দানে কেউ কারো সিনিয়ার অথবা জুনিয়র হয় না। এই ব্যাপারটি পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দিলেন দেব।

Advertisement

যেরকম ভাবে তিনি সকলের সাথে সৌজন্য রক্ষা করেন সেরকম ভাবেই বিরোধীদলের কটাক্ষের জবাব দেন। হুগলি চন্ডীতলা তৃণমূল প্রার্থী স্বাতী খন্দকারের হয়ে প্রচার করতে নেমে ছিলেন দেব। সেই প্রচারের ভিডিও রেকর্ড করে তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড করেছিলেন। সেই ভিডিও কে মেনশন করে যশ দাশগুপ্ত দেবকে লিখে পাঠালেন, “তোমাকে চন্ডীতলায় স্বাগত ভাই। এখানকার মানুষ অতিথিদের খুব আদর এবং যত্ন করতে পারেন। মধ্যাহ্নভোজ পাওনা রইল।”

যশের এই টুইটের রিপ্লাই দিতে গিয়ে মিষ্টি কথার খোঁচা মারলেন দেব। দেব লিখলেন, “হ্যাঁ হ্যাঁ অবশ্যই! আমি জানি, গত ৭ বছর ধরে এখানে প্রচার করছি। ভোট পরবর্তী সময়ের জন্য মধ্যাহ্নভোজ তোলা রইলো, পাক্কা। নির্বাচনের জন্য শুভেচ্ছা… তোমার পরিশ্রম আমি দেখতে পাচ্ছি।” তবে শুধুমাত্র যশ দাশগুপ্ত না, তার সতীর্থ বনি সেনগুপ্ত দেব কে খোঁচা মেরে একটি টুইট করলেন।

বনি লিখলেন, “আগে জানলে একসাথে মধ্যাহ্নভোজ করে বের হতাম।” এই টুইটার জবাবে দেব লিখলেন, “কোথায় তোদের মতো এতো ফাঁকা সময়। শেষ কবে আরামে লাঞ্চ করেছি ভুলে গেছি।” দেবের এই সুন্দর রিপ্লাই নেটিজেনদের মনে ধরেছে। অনেকেই বলছেন, মিষ্টি কথার মোড়কে যশ এবং বনিকে যোগ্য জবাব শুনিয়ে দিলেন ঘাটালের সাংসদ দেব।