টানা তৃতীয় মাসে পড়ল পাইকারি মূল্য সূচকের পতন, মুদ্রাস্ফীতির পথে দেশ

জুন মাসের থেকে ১.৮১ শতাংশ পতন ঘটেছে। জ্বালানি ও বিদ্যুতের সামগ্রীগুলিতে তীব্র পতনের কারণে পাইকারি বাজারের দামে মুদ্রাস্ফীতি ঘটেছে।

Advertisement

Advertisement

টানা তিন মাস পাইকারি মূল্য সূচকের পতন ঘটলো। জুন মাসের থেকে ১.৮১ শতাংশ পতন ঘটেছে। জ্বালানি ও বিদ্যুতের সামগ্রীগুলিতে তীব্র পতনের কারণে পাইকারি বাজারের দামে মুদ্রাস্ফীতি ঘটেছে। গত মে ও এপ্রিল মাসে মুদ্রাস্ফীতি ছিল যথাক্রমে (-) ৩.২১ শতাংশ এবং (-) ১.৫৭ শতাংশ। মার্চে যা ছিল ০.৪২ শতাংশ।

Advertisement

মঙ্গলবার শিল্প মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘মাসিক পাইকারি মূল্য সূচক (ডাব্লুপিআই) ভিত্তিক মূল্যস্ফীতির হার ২০২০ সালের জুন মাসে (-) ১.৮১ শতাংশে দাঁড়িয়েছিল। যা আগের বছরের একই মাসে ২.০২ শতাংশ ছিল।’ তবে, মে মাসের ১.১৩ শতাংশের তুলনায় খাদ্য সামগ্রীতে ২.০৪ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। শাকসবজি ও পেঁয়াজে যথাক্রমে (-) ৯.২১ শতাংশ ও (-) ১৫.২৭ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি ঘটে। আলুর দাম বেড়েছে ৫৬.২০ শতাংশ। ডালের দামও বেড়েছে ১০.১০ শতাংশ। অন্যদিকে, গত জুন মাসে ৫.১৭ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি ঘটেছে গমে। জ্বালানি ও বিদ্যুতের ক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতি গত জুনে (-) ১৩.৬০ শতাংশে দাঁড়িয়েছিল। যা আগের মাসে ১৯.৮৩ শতাংশ ছিল।

Advertisement

সোমবার প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে যে, জুন মাসে গ্রাহক মূল্য সূচক (সিপিআই) দ্বারা পরিমাপ করা খুচরা পণ্যের মূদ্রাস্ফীতি ৬.০৯ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। যা আরবিআইয়ের নির্ধারিত স্কেলের চেয়ে বেশি। আইসিআরএ-র অধ্যক্ষ অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ার জানান, ২০২০ সালের জুনে ডব্লিউপিআই সূচকের পরিমাণ তীব্রভাবে সংকুচিত হয়ে পড়ে। খনিজ ব্যতীত সমস্ত বড় বড় আর্থিক ক্ষেত্রগুলোতে বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির ধারাবাহিক উত্থান দেখা যাবে।

Advertisement
Tags: Business

Recent Posts