ভোররাতে বৃষ্টির সাথে রাজ্যে এল শীত, সপ্তাহের শেষে এক ধাক্কায় পারদ নামবে ৫ ডিগ্রী

Advertisement

Advertisement

গতকাল থেকেই আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর পূর্বাভাস দিয়েছিল যে চলতি সপ্তাহের শেষে রাজ্যে বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হবে। সেইমতো কাল থেকেই আকাশের মুখ ভার ছিল। তারপর ভোর রাতে শুরু হয়েছে ঝমঝম করে বৃষ্টি। কার্যত সকাল ৬ টা তেও দিন হয়ে গেছে তা বোঝার উপায় ছিল না। তারপর বেলা গড়াতে বৃষ্টি থামলেও আকাশ মেঘলা হয়ে আছে। রাতভর বৃষ্টি হওয়ায় বাতাসে বেশ শিরশিরানি অনুভূত হচ্ছে। তবে এই বৃষ্টিতে খুব একটা তাপমাত্রা নামবে না বলেই অনুমান আবহাওয়া দপ্তরের।

Advertisement

তবে ভোররাতের বৃষ্টি শীতের আগমনকে নিশ্চিত করেছে। আবহাওয়া দপ্তর অনুযায়ী, আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে রবিবার থেকে। সেদিন থেকেই রাজ্যে পূবালী হাওয়ার প্রভাব কমে যাবে। আর সেই জায়গায় দাপট বাড়বে উত্তুরে শীতল হাওয়া। অন্যদিকে জম্মু-কাশ্মীরে সেই সময় থেকেই বৃষ্টিপাত ও তুষারপাতে সম্ভাবনা জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। ইতিমধ্যেই ঝিলামের উপত্যাকা বরফের চাদরে ঢাকা পড়েছে। এর ফলে উত্তরে শীতল বাতাস খুব তাড়াতাড়ি চলে আসবে রাজ্যে। তার সাথে দোসর হয়ে বৃষ্টিপাত এলে জাঁকিয়ে শীত পড়বে রাজ্যে। রবিবারের পর এক ধাক্কায় পারদ ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস নামতে পারে বলে অনুমান আবহাওয়া দপ্তরের।

Advertisement

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর অনুযায়ী, আগামী সপ্তাহে শুরু থেকেই দক্ষিণবঙ্গে জাঁকিয়ে শীত পড়বে। তাদের অনুমান ২৩,২৪,২৫ এবং ২৬ নভেম্বর চারদিন রাজ্যে তাপমাত্রার “শার্প ফল” হবে। অর্থাৎ এই চারদিনের রাজ্যে জেলাগুলির তাপমাত্রা এক ধাক্কায় ৫ ডিগ্রি অব্দি কমে যেতে পারে। পাশাপাশি, আজ ভোর থেকে চাকদা, কল্যাণী, রানাঘাট, শান্তিপুর, কৃষ্ণনগর সহ নদিয়ার অধিকাংশ জায়গায় ঘন কুয়াশার আস্তরণ দেখা যায়। ফলে কমে যায় দৃশ্যমানতা। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কেটে যাবে কুয়াশা।

Advertisement

শুক্রবার কলকাতার তাপমাত্রা সাধারণের তুলনায় ৪ ডিগ্রী বেশি ছিল। গতকাল সকালে সর্বনিম্ন কলকাতার তাপমাত্রা ছিল ২৩.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। অন্যদিকে জেলাগুলিতে কলকাতার চেয়ে তাপমাত্রা খুব একটা হেরফের ছিল না। গতকাল বহরমপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং মালদায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস ছিল। আর এই সপ্তাহ পেরোলেই বৃষ্টিপাতের সাথে জাঁকিয়ে শীত পড়লে এক ধাক্কায় তাপমাত্রা অনেকটাই নামতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।