ভোট মিটলেই কি রাজ্যে লকডাউন? চিন্তায় কপালে ভাঁজ ছোট ব্যবসায়ীদের

বাংলায় শুধুমাত্র অষ্টম দফা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ বাকি রয়েছে

Advertisement

Advertisement

চলতি বছরের শুরুতে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কিছুটা কমলেও মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে নতুন মিউট্যান্ট স্ট্রেন দেশবাসীর জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে। এখন এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে এসে পাহাড়সমান সংক্রমণ রীতিমতো উদ্বেগে ফেলছে দেশবাসীকে। এখন প্রায় প্রতিদিন ভারতে সাড়ে ৩ লাখ মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। অন্যদিকে বেহাল অবস্থা বাংলাতেও। প্রায় প্রতিদিন ১৫ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মাঝেও চলছে একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই ৭ দফা নির্বাচনের শেষ হয়ে গেছে এবং বাকি রয়েছে ১ দফা নির্বাচন। আগামী ২৯ এপ্রিল শেষ দফার নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হবে।

Advertisement

তবে নির্বাচন শেষে সাথে সাথেই বঙ্গবাসীর মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হচ্ছে যে তাহলে কি নির্বাচন শেষ হলেই রাজ্যে লকডাউন শুরু হয়ে যাবে। একরাশ উৎকণ্ঠা নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এরকম করোনা মাঝে প্রায় সবার অর্থনৈতিক অবস্থা বেশ খারাপ হয়ে গেছে। এই মুহূর্তে হঠাৎ করে যদি আবার ভোটের পর লকডাউন চালু হয়ে যায় তাহলে তারা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। নির্বাচনের জন্য এখন বাংলায় লকডাউন নিয়ে কোন উচ্চবাচ্য না করা হলেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের পরে হঠাৎ লকডাউন ডাকলে তালা পড়বে সব দোকানে। এরইমধ্যে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ বারংবার জিএসটি নিয়মে পরিবর্তন করায় ছোট ব্যবসায়ীরা ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। সময় রিটার্ন ফাইল এর ঝুঁকি করতে গিয়ে ব্যবসার চিন্তা ভাবনা শিকেয় উঠেছে। তার ওপর লকডাউন হলে অনেক ব্যবসায়ী পথে বসবেন বলে আশঙ্কা করছেন।

Advertisement

এমন মুহূর্তে কনফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন এর প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট ফিরোজ আলী বলেছেন, “ব্যবসায়ীদের একাংশের মতে নরেন্দ্র মোদী এখন কার্যত তাদের উপরওয়ালা। তার ওপর অগাধ আস্থা আছে। কিন্তু তার দলের অনেক লোক মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দীর্ঘদিন ধরে।” তবে আবার অনেক ব্যবসায়ী বিশেষত অবাঙালি ব্যবসায়ীরা ভরসা রেখেছেন মোদির বিধানে।

Advertisement