রবিবার থেকে রাজ্যে কড়া লকডাউন, জেনে নিন কী খোলা আর কী বন্ধ

রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে আগামী ১৫ দিনের নতুন নির্দেশিকা জারি করলেন

Advertisement

Advertisement

সারা ভারতের পাশাপাশি বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে করোনাভাইরাস এর পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। এতদিন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা নয় নয় করেও ১৮ থেকে ১৯ হাজারের মধ্যে ঘোরাফেরা করতো। কিন্তু এবারে সেইসব সংখ্যা ছাড়িয়ে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২১,০০০ এর গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে। এতদিন পর্যন্ত আংশিক লক ডাউনের ঘোষণা করেছিল নব নির্বাচিত রাজ্য সরকার। কিন্তু এবারে আর রাস্তা না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে কার্যত লকডাউনের ঘোষণা করে দিল রাজ্য। আগামীকাল অর্থাৎ ১৬ মে সকাল ৬ টা থেকে ৩০ মে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত এই নিয়মাবলি চালু থাকবে।

Advertisement

তার পাশাপাশি বেশ কিছু সার্ভিস বন্ধ করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। রাত্রি ৯ টার পরে সবকিছু বন্ধ থাকতে চলেছে রাজ্যে, অর্থাৎ নাইট কার্ফু জারি করে দিল সরকার। আজকেই সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এই ‘কার্যত’ লকডাউনের ঘোষণা করলেন। সঙ্গেই তিনি সমস্ত নতুন নিয়মাবলির একটি তালিকা প্রকাশ করলেন।

Advertisement

নতুন নিয়মাবলী (১৬ মে সকাল ৬ টা থেকে ৩০ মে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত বৈধ) –

Advertisement

১. সমস্ত সরকারি অফিস এবং প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। খোলা থাকবে শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিসের অফিসগুলি।

২. সমস্ত স্কুল-কলেজ, পলিটেকনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

৩. আন্ত:রাজ্য বাস পরিষেবা, অটো পরিষেবা এবং মেট্রো পরিষেবা বন্ধ থাকবে। ট্যাক্সি পরিষেবা চালু থাকতে পারে তবে তা শুধুমাত্র জরুরি অবস্থায় ব্যবহার করা যাবে। মালপত্র ভর্তি ট্রাক চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ। ট্রাক চালালে শুধুমাত্র চিকিৎসা সামগ্রী, অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং খাদ্য সামগ্রী পরিবহন করা যাবে।

৪. শপিং মল, সুইমিং পুল এবং রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকবে।

৫. দোকান বাজার সকাল ৭ টা থেকে সকাল ১০ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এই তালিকায় রয়েছে মুদিখানা, খুচরা দোকান এবং নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসের দোকান।

৬. মিষ্টির দোকান খোলা থাকবে সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত।

৭. ওষুধের দোকান এবং চশমার দোকান খোলা থাকবে।

৮. সমস্ত ই-কমার্স পরিষেবা চালু থাকবে।

৯. এটিএম এবং ব্যাংক খোলা থাকবে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টো পর্যন্ত।

১০. বিয়ে বাড়িতে সর্বাধিক ৫০ জন উপস্থিত থাকতে পারেন।

১১. শবদেহ সৎকারের জন্য সর্বাধিক উপস্থিতি ২০ রাখা হচ্ছে।

১২. রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় সমস্ত সমাবেশ বন্ধ থাকবে।

১৩. চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সমস্ত ধরনের ছাড় দেওয়া হবে।

১৪. চা বাগানে ৫০% উপস্থিতি সর্বাধিক। চটকলে উপস্থিতির পরিমাণ সর্বাধিক ৩০%।

১৫. রাত ৯ টার পরে রাজ্যে নাইট কার্ফু জারি হবে।