রাজনৈতিক থেকে প্রাকৃতিক, রাজ্যে তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী

Advertisement

Advertisement

কলকাতা: বাংলার নির্বাচনী (West Bengal Assembly Election 2021) নির্ঘণ্ট এখনও ঘোষণা হয়নি। তবে তার আগেই তৃণমূল (TMC), বিজেপি (BJP) সহ সব পক্ষ যেভাবে ভোটের ময়দানে নেমে পড়েছে তাতে ক্রমশই বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। কেউ প্রতিপক্ষকে বলছেন ‘বেইমান – মিরজাফর’, কারও মুখে আবার ‘পিসি – ভাইপো’ কটাক্ষ। কেউ দিচ্ছেন ‘ঝান্ডার ডান্ডা দিয়ে প্রতিপক্ষকে একেবারে ঠাণ্ডা’ করে দেওয়ার নিদান, তো কারও হুঁশিয়ারি, ‘গায়ে হাত দিলে সেই হাত দিয়ে আর ভাত খেতে পারবেন না’। আর এইসব গরমা গরম বক্তব্য ঘিরে জানুয়ারির শীতেই সরগরম বঙ্গ রাজনীতি।

Advertisement

তবে উত্তাপের এই ঊর্ধ্বগতির সূচনা কিন্তু গতবছরেই। আর তা রাজনীতি থেকে প্রকৃতি সর্বত্রই বিরাজমান। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত বছর থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। ফলে তখন থেকেই অল্পবিস্তর গরম হতে শুরু করে ভোটের বাজার। আর এর মাঝেই আবার ১৯০১ থেকে এই পর্যন্ত সময়ে ২০২০কে অষ্টম উষ্ণতম বছর হিসেবে ঘোষণা করেছে আইএমডি। ফলে ঘরে বাইরে, উত্তাপ সর্বত্রই।

Advertisement

আবহাওয়া নতুন বছরের শুরুতেও খুব একটা ভাল বার্তা দিচ্ছে না। ডিসেম্বর – জানুয়ারি সহ আগে পরে মিলিয়ে গোটা বছরে মাত্র আড়াই তিন মাস শীতকে উপভোগ করার সুযোগ পান বঙ্গবাসী। তার মধ্যে ডিসেম্বরের শেষ আর জানুয়ারির শুরুর সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শীতের আমেজে ছুটির মেজাজে স্বাভাবিক ভাবেই সময়টা বেশ ফুরফুরেই কাটে মানুষের। কিন্তু এবার তাতেও বাধা। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে সোমবার থেকে ঊর্ধ্বমুখী তাপমাত্রার পারদ। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, তাপমাত্রা আরও কিছুটা বাড়তে পারে। ফলে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাঁকিয়ে শীত কার্যত ধরাছোঁয়ার বাইরে। বেলা বাড়লেই উধাও ঠাণ্ডা। আর এদিকে রাজনৈতিক বাতাবরণে বিজেপির কোনও কোনও নেতা দাবি করে চলেছেন জানুয়ারি মাসেই নাকি সংখ্যালঘু হয়ে পড়বে রাজ্য সরকার। দেখা দিতে পারে সাংবিধানিক সংকট। সেক্ষেত্রে এই রাজনৈতিক ও প্রাকৃতিক উত্তাপ বৃদ্ধির মাঝে বঙ্গবাসীর জন্য কী অপেক্ষা করছে এখন সেটাই দেখার।

Advertisement