Categories: অফবিট

একটা আস্ত গোখরা সাপকে কামড়ে ছিড়ে ফেলছে বেঁজি, দেখুন ভয়ংকর ভিডিও

Advertisement

Advertisement

শ্রেয়া চ্যাটার্জি – বেঁজিরা সাপ ধরতে একেবারে ওস্তাদ। সারা শরীর হলুদাভ লোমে ঢাকা। শীতকালে লোমের রং আরও গাঢ় হয়। এরা সাধারণত ছোট ছোট স্তন্যপায়ী, সরীসৃপ, উভচর সব ধরনের কীটপতঙ্গ খেয়ে থাকে মাঝেমধ্যে পাখির ডিম খায়। কখনো কখনো আবার ভাল লাগলে ফলমূল খেয়ে থাকে। তবে সাপ শিকার করতে এরা একেবারে সিদ্ধহস্ত। মনে করা হয়, এটা বাড়ির চারপাশে থাকলে সেই বাড়ি সাপের হাত থেকে অনেকটা নিরাপদ। সাপের নাম শুনলেই মানুষ সহ অন্যান্য প্রাণীরা ভয় সেঁধিয়ে থাকে, সেখানে বেঁজির মধ্যে কি এমন থাকে যার জন্য এরা সাপেদের একমাত্র শত্রুতে পরিণত হয়েছে?

Advertisement

এর উত্তর আছে বেজির শরীরের মধ্যেই। এদের শরীরের নিবিড় লোম এবং এরা স্বভাবে প্রচণ্ড চটপটে এবং কৌশলী হওয়ার জন্যই সর্পদংশনকে এড়াতে পারে। বড় আকারের গোখরো সহ নানান জাতের সাপ শিকার করতে একেবারে পটু। ক্রমাগত এরা সাপকে ছোবল মারতে প্ররোচিত করে এবং কৌশলে তার দংশনকে এড়িয়ে যায়। আস্তে আস্তে সাপ ছোবল মারতে মারতে ক্লান্ত হয়ে পড়লে বেঁজির সাপের মাথা কামড়ে ছিঁড়ে নেয়। সবচেয়ে মজার কথা হল সাপের বিষ শরীরের মধ্যে গেলেও বেঁজিদের কোন ক্ষতি হয় না।

Advertisement

এই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, একটি গোখরো সাপ যার নাম শুনলেই গায়ের লোম খাড়া হয়ে যায় সে শত চেষ্টা করছে বেঁজিটিকে ঘায়েল করার। কিন্তু বেঁজি বাবাজি হয়তো মনে মনে ভাবছে ‘আমার সঙ্গে পাঙ্গা নিতে এসোনা’। আর সত্যিই তাই কিছুক্ষণ লড়াই চলার পরে বেঁজি সাপটির একেবারে ঘাড় কামড়ে ধরেছে।

Advertisement

বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মায়ানমার, ইরাক এমনকি তুরস্কেও বেঁজি দেখা যায়। তবে বর্তমানে এই প্রজাতিটি বিপদগ্রস্থ অবস্থায় রয়েছে ক্রমাগত আবাসভূমি ধ্বংস ক্ষতিকর প্রাণী হিসেবে নিধনের বিপন্নতার প্রধান কারণ হিসেবে অনেকেই মনে করছেন। নকুল বেঁজি, কাঁকড়াভুক বেঁজি, বড় বেঁজি প্রভৃতি নানান রকমের প্রজাতি দেখা যায়। এরা মরুভূমি, তৃণভূমি, বনভূমি সমস্ত পরিবেশে বসবাসের অভ্যস্ত। এই প্রাণীটিকে বাঁচিয়ে রাখা ভীষণ প্রয়োজন। এদেরকে সংরক্ষণ করতে হবে, তবেই তো বাস্তুতন্ত্রের খাদ্য ও খাদকের শৃঙ্খলা বজায় থাকবে।

Recent Posts