জয় শ্রীরাম ধ্বনি শোনার ভয়ে এলেননা, রেলওয়ে অনুষ্ঠানে কুলটির বিধায়ককে কটাক্ষ বাবুলের

এবারে বিজেপি সংসদ বাবুল সুপ্রিয়র (Babul supriyo ) উপস্থিতিতে রেলের অনুষ্ঠানে শোনা গেল বিজেপির চিরপরিচিত জয় শ্রীরাম ধ্বনি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না কুলটির বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় (Ujjwal Chatterjee)।

Advertisement

Advertisement

এবারে বিজেপি সংসদ বাবুল সুপ্রিয়র (Babul supriyo ) উপস্থিতিতে রেলের অনুষ্ঠানে শোনা গেল বিজেপির চিরপরিচিত জয় শ্রীরাম ধ্বনি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না কুলটির বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় (Ujjwal Chatterjee)। সেই প্রসঙ্গে বাবুল সুপ্রিয় বললেন, উজল চট্টোপাধ্যায় আসেননি শুধুমাত্র জয় শ্রীরাম শোনার ভয়ে। যদিও বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছেন ওই অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ তাকে জানানো হয়নি।

Advertisement

আসানসোল ডিভিশনে সিতারামপুর স্টেশনে আপার ক্লাস ওয়েটিং এবং উচ্চ শ্রেণীর প্রতীক্ষালয় ও নব নির্মিত স্টেশন কমপ্লেক্স উদ্বোধন ছিল। অনুষ্ঠান মঞ্চে ফ্লেকসে উদ্বোধক হিসেবে নাম ছিল বাবুল সুপ্রিয়র। এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে নাম ছিল উজ্জল চাটার্জী র। তার জন্য বিশেষ চেয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু তবুও বাবুল সুপ্রিয়র অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেন কুলটির বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়। আর এই অনুপস্থিতি নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক।

Advertisement

বাবুল সুপ্রিয় যখনই মঞ্চে উঠলেন তখনই বিজেপির নেতা কর্মীরা জয় শ্রীরাম বলে ধনী তোলেন। বাবুল তাদের উদ্দেশ্যে বললেন, “ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। এখানে সবাই নিজেদের অধিকার অনুযায়ী ধর্মাচরণ করতে পারে। এদিনের অনুষ্ঠানে কুলটির বিধায়ককে ডাকা হয়েছিল। তার নামে চেয়ার রাখা হয়েছিল। কিন্তু জয় শ্রীরাম ধ্বনির ভয়ে তিনি এলেন না। উনার চেয়ারে একটি পুষ্পস্তবক এবং জলের বোতল রেখে দিলাম। আশা করি উনি পরে স্টেশনে এসে নিয়ে যাবেন। কারণ উনি এই স্টেশন নিশ্চয়ই ব্যবহার করেন।”

Advertisement

তারপর তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বললেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কর্মীরা কোনদিন মানুষের ভালো কাজ করেনি। এখন অনেকে জয় শ্রীরাম ধ্বনি শুনলে রেগে যাচ্ছেন। তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। আমাদের উদ্দেশ্য মানুষকে ভালো পরিষেবা দেওয়া। যাতে প্রতিটি মানুষ স্টেশনে এসে কোন সমস্যার মধ্যে না পড়েন। তাতে আমরা আমাদের রাম কার্ড নিয়ে খেলতে পারি।”

Recent Posts