ভোটের আগে শাসক শিবিরের মোক্ষম চাল, তৃণমূলে যোগদান করলেন তরাই-ডুয়ার্সের টাইগার

Advertisement

Advertisement

শাসক শিবিরে যোগদান করলেন তরাই-ডুয়ার্সের টাইগার তথা রাজেশ লকরা। ভারতীয় মূলনিবাসী আদিবাসী বিকাশ পরিষদের সেন্ট্রাল কমিটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন লকরা । তাকে দলে নিয়ে আসন্ন নির্বাচনের আগে শাসক শিবির হতে মোক্ষম চাল চালা হল বলে মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা।

Advertisement

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগে বাম সমর্থক হিসবে পরিচিত ছিলেন টাইগার তথা রাজেশ লকরা। ২০০৬ সাল পর্যন্ত বামেদের সমর্থক ছিলে রাজেশ। শাসক শিবিরের তরফে দাবি, মালবাজার, আগরাকাটা, মাদারিহাট, কালচিনি, কুমারগ্রামের মত ৫ টি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রভাব করেছে টাইগার অর্থাৎ রাজেশ লকরা। প্রভাব রয়েছে তার আদিবাসী বিকাশ পরিষদের। এখন আসন্ন বিধানসভা ভোটে উত্তরবঙ্গ জয় করতে গেলে প্রয়োজন আদিবাসী ভোট। সেই ভোট টানা একটি চ্যালেঞ্জের বিষয় হতে চলেছে তৃণমূল শিবিরের জন্য। আর সেই ক্ষেত্রে রাজেশ লকরার জোড়াফুল শিবিরে যোগদান অনেকটাই উল্লেখযোগ্য হবে বলে মনে করছেন অনেকে।

Advertisement

টাইগারের বক্তব্য,”এই এলাকাগুলিতে কম করে রয়েছে ৭৫% আদিবাসী ভোট। আদিবাসীদের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা যা কাজ করেছেন, তার কথা মাথায় রেখেই দলে যোগদান।” তৃণমূল সূত্রের খবর, চলতি মাসের শেষের দিকে উদ্বোধন করা হবে বিরসা মুন্ডার মূর্তি।

Advertisement

তবে এই মধ্যেই আসন্ন ভোটে তৃণমূলকে সমর্থনের কথা জানিয়ে দিয়েছেন মোর্চা নেতা বিমল গুরুং। এইদিকে গুরুং এর বিপরীত পন্থী হিসেবে অনেকটাই পরিচিত নেতা হলেন টাইগার তথা রাজেশ লকরা। সেই ক্ষত্রে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মনে প্রশ্ন উঠেছে তাদের একসাথে কাজ করা কে ঘিরে। সত্যিই কি তাদের একসাথে কাজ করা সম্ভব? এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে টাইগার রেখেছেন তার বক্তব্য। তিনি বলেন,”আমরা বাংলাকে ভাগ হতে দেব না।”