বর্তমান সময় যেমনভাবে মানুষ অর্থ উপার্জন করছেন, ঠিক তেমনভাবেই বিনিয়োগের দিকে খেয়াল রাখছেন। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগের স্কিম রয়েছে এবং তার থেকে বেশ ভালো পরিমাণ টাকা ফেরতও পাওয়া যায়। তবে বিনিয়োগের কথা উঠলেই প্রথমেই জেনে রাখা ভালো যে বিনিয়োগ মাত্রই ঝুঁকি আছে। যেই সমস্ত স্কিমে বেশি রিটার্ন থাকে সেখানে ঝুঁকির পরিমাণ বেশি। তাই ঝুঁকির ভয়ে অনেকেই পিছিয়ে পড়ে বিনিয়োগ করতে চান না। আর এই ঝুঁকিহীন বিনিয়োগ করার সুযোগ দেয় পোস্ট অফিস। তাই অনেকেই এই পোস্ট অফিসের স্কিমে বিনিয়োগ করে নিজেদের সন্তানের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করতে চান।
পোস্ট অফিস সাধারণ মানুষের কথা ভেবে মাঝে মাঝে বিভিন্ন ধরনের স্কিম আনে। পোস্ট অফিসের পক্ষ থেকে নতুন একটি স্কিম আনা হয়েছে যা সন্তানের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার জন্য খুবই অনন্য। আসলে এই স্কিমে আমি এককালীন বিনিয়োগ করলে প্রতি মাসে ঘরে বসে ২৫০০ টাকা অব্দি পেতে পারেন যা নিজের সন্তানের প্রতি মাসের শিক্ষার খরচের জন্য যথেষ্ট। উপরন্ত এই স্কিমে বিনিয়োগ করলে টাকা হারানোর কোনো ঝুঁকি নেই। স্কিম সমন্ধে সবিস্তারে জানতে প্রতিবেদনের শেষ অংশটি অবশ্যই পড়ুন।
নতুন এই পোস্ট অফিসের স্কিমে যোগদান করার জন্য কোনো বয়সসীমা নেই। এই প্রকল্পের অধীনে একটি ১০ বছরের শিশুর নামেও অ্যাকাউন্ট খোলা যেতে পারে। এককালীন আপনি টাকা বিনিয়োগ করলে আপনি প্রত্যেক মাসে যা সুদ পাবেন, তা দিয়েই নিজের সন্তানের টিউশন ফ্রী থেকে শুরু করে শিক্ষার খরচ যোগান হয়ে যাবে। আপনি যদি প্রাথমিক বিনিয়োগের অর্থ বাড়ান তাহলে সুদের পরিমাণও বেশি হবে।
স্কিমের হিসাব বোঝানোর জন্য একটি উদাহরণ দিয়ে বলা যায় আপনি যদি আপনার সন্তানের ১০ বছর বয়সে একটি পোস্ট অফিসে অ্যাকাউন্ট খোলেন এবং তাতে এককালীন ২ লাখ টাকা জমা দেন, তাহলে স্কিমের শর্ত অনুযায়ী আপনি প্রতি মাসে ৬.৬ শতাংশ হারে ১১০০ টাকা সুদ পাবেন। পাঁচ বছর বাদে সুদের পরিমাণ হবে ৬৬ হাজার টাকা। সেই সাথে আপনি এককালীন জমা দেওয়ার ২ লাখ টাকা তুলে নিতে পারবেন। আপনি যদি নিজের সন্তানের জন্য এই স্কিম খোলেন তাহলে প্রত্যেক মাসের সুদ ১১০০ টাকায় আপনার সন্তানের শিক্ষার খরচ যোগান হয়ে যাবে।