কমতে শুরু করেছে সূর্যের তাপমাত্রা, চিন্তার ভাঁজ বিজ্ঞানীদের কপালে

Advertisement

Advertisement

শ্রেয়া চ্যাটার্জি – করোনা ভাইরাস এর জন্য যখন প্রায় গোটা বিশ্বজুড়ে লকডাউন চলছে। তখন মহাকাশেও এ লকডাউনের প্রভাব পড়েছে। সূয্যিমামাও নাকি এই লকডাউনের আওতায় এবার পড়তে চলেছে। আর তার প্রভাব যে শুধুমাত্র মহাকাশে পরবে তা নয়, তার কুপ্রভাব এবার পড়তে চলেছে পৃথিবীতেও। কিন্তু বিষয়টি ঠিক কেমন হতে চলেছে? এর উত্তরে বিজ্ঞানীরা জানালেন, দিনের বেলা যে সূর্যের তাপে চারিদিক ফুটিফাটা, সেই সূর্যের তাপমাত্রাই নাকি আস্তে আস্তে কমতে শুরু করবে। যার ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা কমে গিয়ে, ক্রমশ হিমশীতল হয়ে পড়বে।

Advertisement

এই সময়সীমাকে বিজ্ঞানীরা নাম দিয়েছেন ‘সোলার মিনিমাম’। এর কুপ্রভাব পড়বে পৃথিবীতে। কসমিক রে সূর্য থেকে বের হওয়ার ফলে মহাকাশে প্রভাব পড়ার সাথে সাথে প্রভাব পড়বে পৃথিবীতেও। মহাকাশচারীদের ক্ষতি হবে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ক্ষতি হবে, ভূমিকম্প হবে, বজ্রপাতের সংখ্যা বেড়ে যাবে। সব মিলিয়ে চিন্তায় বিজ্ঞানীদের কপালে বেশ ভাঁজ পড়তে শুরু করেছে। এর ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস করে কমে যাবে। এর প্রভাব পড়বে খাদ্য দ্রব্য উৎপাদনের ওপর।

Advertisement

১৮১৬ সালেও এমন দিন এসেছিল। যে বছরটা গ্রীষ্মকাল ছাড়াই অতিবাহিত হয়েছিল। বীভৎস গরম কালে সূর্যের তাপমাত্রা কমবে, এ কথা শুনলে মনে মনে আনন্দ হতেই পারে। কিন্তু এর প্রভাব বেশ ভয়ঙ্কর, এমনটাই জানিয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। ২০২০ সাল শুরু হয়েছে করোনা ভাইরাস নামে এক মারন ভাইরাসের থাবা দিয়ে। এরপরে প্রকৃতির এমন খেলা চলতে থাকলে মানুষের পক্ষে কতদিন স্বাভাবিক ভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব, এটাই প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে। তবে মানুষ চিরকালই প্রতিকূল অবস্থাকে কাটিয়ে উঠে নিজের মতন করে বাঁচতে শিখেছে। প্রকৃতিকে জয় করার ক্ষমতা মানুষের রয়েছে। হয়তো সময় লাগবে, হয়তো আরও খানিকটা বুদ্ধি প্রয়োগ করতে হবে। তবে মানুষই পারবে সব কিছুকে কাটিয়ে, নতুন জীবন শুরু করতে।

Advertisement