রাজ্যপালের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকেই জগদীপ ধনকড় এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে বারংবার সংঘাতের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে মতবিভেদ তৈরী হওয়ায় রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্কে এসেছে অবনতি। এবারে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে রাজ্যপালের সংঘাতের নবতম সংযোজন হল হেলিকপ্টার বিতর্ক। আজ শুক্রবার মুর্শিদাবাদ সফরে যাওয়ার জন্যে রাজ্য সরকারের কাছে হেলিকপ্টার চাইলে না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে সড়ক পথে রওনা দিলেন রাজ্যপাল।
আজ, শুক্রবার বর্ধমান এবং সিউড়ির সার্কিট হাউস পরিদর্শনে যাচ্ছেন রাজ্যপাল। তার পরেই মুর্শিদাবাদের ফারাক্কার সৈয়দ নুরুল হাসান কলেজে যোগ দিতে চলেছেন তিনি এবং আজ রাতেই আবার রাজভবনে ফিরে আসবেন তিনি। রাজ্যপালের মুর্শিদাবাদ সফরের কথা রাজভবনের তরফ থেকে আগে জানিয়ে দীর্ঘ ৬০০ কিমি পথ যাতায়াতের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে হেলিকপ্টারের পরিষেবা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল। নিজেদের মধ্যে সংঘাত জারি রেখে এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে কোনো উত্তর করেননি মুখ্যমন্ত্রী। তাই চিঠির প্রত্যুত্তরে গতকাল রাত অবধি কোনো সংবাদ না আসায় শেষ পর্যন্ত সড়ক পথেই সস্ত্রীক মুর্শিদাবাদের জন্য পাড়ি দিলেন রাজ্যপাল।
আজ ভোর পাঁচটা নাগাদ রাজভবন থেকে মুর্শিদাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা দেন জগদীপ ধনকড়। সকাল ৬.৪৫ নাগাদ প্রথমে বর্ধমানের সার্কিট হাউসে পৌঁছন তিনি এবং তার পর সেখান থেকে বেরিয়ে সকাল ৯ টা নাগাদ বীরভূমের সিউড়ির সার্কিট হাউস পরিদর্শনে পৌঁচ্ছান। এরপর সিউড়ি থেকে মুর্শিদাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দুপুর ১২.৩০ নাগাদ কলেজের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন তিনি। সূত্রের খবর অনুষ্ঠান শেষ করে রাত ১০ নাগাদ রাজভবনে ফিরবেন রাজ্যপাল।
তবে হেলিকপ্টার প্রসঙ্গে অনেকটাই ক্ষুব্ধ রয়েছেন রাজ্যপাল। আজ বর্ধমানের সার্কিট হাউস থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি বলেন, “আমার সাথে মুখ্যমন্ত্রী কোনো বিষয়ে যোগাযোগ করলে আমি খুব শীঘ্রই তার উত্তর দিয়ে থাকি। মুর্শিদাবাদের কলেজে অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা আমি আগেই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি করে জানিয়ে হেলিকপ্টার চেয়েছি। কিন্তু আমার চিঠির পাল্টা জবাব এখনও মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে আমি পাইনি।”