বিশ্ব বনাঞ্চল দিবস : অবাধে কাটা হচ্ছে বন জঙ্গল, বিপদে পরিবেশ

Advertisement

Advertisement

শ্রেয়া চ্যাটার্জি : বিশ্ব বনাঞ্চল দিবস উদযাপিত হয় মার্চ মাসের ২১ তারিখে। করোনা ভাইরাসের জন্য মানুষ এতটাই আতঙ্কিত তাই অন্য কিছু নিয়ে উদযাপন করার খুব একটা ফুরসত পাচ্ছেন না। কিন্তু তা সত্ত্বেও ক্যালেন্ডারে এই তারিখগুলি আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় যে প্রতিদিনই কিছু না কিছু একটা দিবস থাকে। আর আজকে ২১ তারিখ, বিশ্ব বনাঞ্চল দিবসে দেখা গেল চারিদিকে এক অদ্ভুত চিত্র। মানুষের কোন হুশ নেই, অবাধে কেটে চলেছেন বনাঞ্চল।

Advertisement

এই দিনটিতে সাধারণত বনাঞ্চল গুলিতে কিছু কিছু অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় যাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে গাছ নিয়ে একটা সচেতনতা বৃদ্ধি করা যায়। ক্রমাগত বনাঞ্চল কেটে ফেলার ফলে এর প্রভাব পড়েছে আবহাওয়ার ওপর। অকালে অতিবৃষ্টি কিংবা কোথাও কোথাও খরা, ভূমিক্ষয়, ভূমিকম্প অনেক বেশি পরিমাণে বেড়ে গেছে। বন্য জীবজন্তুর প্রাণ আজ বিপন্ন। হারিয়েছে বিরল প্রজাতির প্রাণী, পশুপাখি।
গোটা বিশ্বের মধ্যে ভারত বর্ষ এও বনাঞ্চল কেটে ফেলার কর্মকাণ্ড থেকে পিছিয়ে নেই। অপ্রয়োজনে কিংবা প্রয়োজনে মানুষ অনবরত কেটে চলেছে বনাঞ্চল।

Advertisement

আরও পড়ুন : ১২ জন যাত্রীর দেহে করোনা ভাইরাস, রেল পথে যাত্রা সুরক্ষিত নয়, সতর্ক করলো রেল

Advertisement

আমাজন এবং অস্ট্রেলিয়ার জঙ্গল কিভাবে পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছিল তা আমাদের প্রত্যেকেরই জানা। এগুলো ছিল পৃথিবীর ফুসফুস। পৃথিবীর এই ফুসফুসের বেশ কিছুটা অংশ পুড়ে ছারখার হয়ে গেছে। প্রকৃতির এমন লীলার কাছে আমাদের কিছু করার নেই। কিন্তু উন্নয়নের জন্য আমরা যে বনাঞ্চল কেটে ফেলছি, এটা আমাদের হাতে। আমরা চেষ্টা করলে উন্নয়ন টা কিছুটা কমিয়ে গাছপালা বাঁচাতে পারি। তাতে আখেরে লাভ আমাদেরই হবে। পৃথিবী আবার সবুজে সবুজ হয়ে উঠবে। কলকারখানার কালো ধোঁয়া, গাড়ির ধোঁয়ায় যে সমস্ত শহরাঞ্চল ছেয়ে গেছে, সেই সমস্ত শহরকে পরিশোধিত করার জন্য কোন গাছপালা বেঁচে নেই। গাছপালা থাকবে তবেই না কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে অক্সিজেন দেবে। আজ বাতাস কলুষিত, মাটি হয়ে গেছে আলগা, কোথাও অতিবৃষ্টিতে বন্যা, কোথাও কোথাও অল্প বৃষ্টিতে খরা। প্রকৃতি বেসামাল হয়ে পড়েছে। এর জন্য প্রয়োজন সচেতনতা। আপনার সাধ্যমত চেষ্টা করুন। আমাদের প্রত্যেককে বিশ্বাস রাখতে হবে ‘একটি গাছ একটি প্রাণ’ এই কথাটির উপর।

Recent Posts