বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলো যখন করোনার আক্রমণে নাজেহাল তখন ইউরোপের ছোট্ট একটা দেশ আশার আলো জ্বেলে দিল বিশ্ববাসীর মনে। গোটা বিশ্বের প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষ করোনা ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত। প্রতিটি দেশের মতোই এ দেশেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। এমতাবস্থায় পথ দেখাচ্ছে ইউরোপের একটি ছোট্ট দেশ। করোনা মহামারির থেকেও যে রক্ষা পাওয়া যায়, নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও সামান্য কিছু বিধিনিষেধ মেনে চললেই যে ঠেকিয়ে দেওয়া যায় এই বিশ্ব মহামারিকে, তা দেখিয়ে দিল ইউরোপের মন্টেনিগ্রো।
প্রথম বিশ্বের আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স, ব্রিটেন, জার্মানির মতো শক্তিশালী দেশগুলো যখন করোনার আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছে, তখন এই ছোট্ট দেশটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করল সারা বিশ্বে। সম্প্রতি নিজেদের করোনামুক্ত দেশ হিসেবে ঘোষণা করল মন্টেনিগ্রো। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী মার্কোভিচ সাংবাদিক সম্মেলন করে নিজেদের করোনামুক্ত দেশ হিসেবে ঘোষণা করলেন।
প্রতিষেধক টিকা বা ওষুধ আবিষ্কৃত না হওয়া স্বত্ত্বেও কিভাবে একটি দেশ নিজেদের করোনামুক্ত হিসেবে ঘোষণা করতে পেরেছে তা জানতে আগ্রহী গোটা বিশ্ব। আর এটা জানতে গিয়েই উঠে আসছে বিষ্ময়কর তথ্য। কোন প্রতিষেধক নয়, সামান্য কয়েকটি নির্দেশ পালন ও সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে করোনাকে হারিয়ে দিলেন মন্টেনিগ্রোর বাসিন্দারা।
আড্রিয়াটিক সাগরের পূর্ব উপকূলের এই ছোট্ট দেশটির বাসিন্দারা সরকারের দেওয়া প্রতিটি নির্দেশ যথাযথ ভাবে পালন করেছে। নিজেদের একে অন্যের থেকে বিচ্ছিন্ন রাখা, আশেপাশের চারিদিক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং সর্বোপরি সরকারের জারি করা লকডাউন সর্বোতভাবে কার্যকর হয় এই দেশটিতে। যার ফলে প্রথম করোনা আক্রান্তের প্রায় ২ মাস পর ইউরোপের প্রথম করোনামুক্ত দেশ হিসেবে উঠে এসেছে মন্টেনিগ্রোর নাম।