ক্রমশ বাড়াচ্ছে শক্তি! ঘূর্ণিঝড় ‘টাউকটে’র তাণ্ডবে মৃত্যু ৪ জনের, তছনছ ৭৩ গ্রাম

গুজরাট এবং মুম্বাই ঘূর্ণিঝড়ের সাথে মোকাবিলা করার জন্য আগাম সর্তকতা নিচ্ছে

Advertisement

Advertisement

গতবছরের আম্ফানের পর চলতি মরসুমে প্রথম ঘূর্ণিঝড় টাউকটে তার আস্ফালন দেখানো শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। ঘূর্ণিঝড়টি গতকাল রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছে কর্ণাটক জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। গতকাল রাতে কর্ণাটক উপকূলে প্রবেশ করে এই ঘূর্ণিঝড়। ঝড়ের দাপটে রাজ্যের ৬ টি জেলার ৭৩ টি গ্রাম কার্যত বিধ্বস্ত হয়ে যায়। ঝড়ের কথা গতকাল রাতেই জানিয়েছিলেন কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্বাই। তিনি বলেছিলেন, “ঘূর্ণিঝড় কর্ণাটক উপকূলে আছড়ে পড়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দুটি দল রাজ্যে আছে। এছাড়াও রাজ্যের তরফ তিনটি বিপর্যয়ের মোকাবিলা দল নামানো হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকায় ১০০০ জন উদ্ধার কাজের জন্য নিযুক্ত আছে।” গতকালের ঘূর্ণিঝড়ে কর্নাটকে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৪ জনের।

Advertisement

অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা সম্বন্ধে মন্তব্য করেছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদদুরাপ্পা। তিনি বলেছেন, “আমরা সর্বক্ষণ উপকূলবর্তী এলাকাগুলির উপর কড়া নজরদারির রাখছি। পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আছে। যে সমস্ত জেলাতে বেশি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে সেখানের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ও জেলাশাসকের সাথে নিরন্তন যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। সব জায়গায় উদ্ধার কাজ আপাতত ঠিকঠাক চলছে।”

Advertisement

আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে এই ঘূর্ণিঝড় টাউকটে বেশ কিছুদিন ধরে শক্তি বৃদ্ধি করে এখন পূর্ব-মধ্য আরব সাগরের অবস্থান করছে। এটি আগামী ৬ ঘন্টার মধ্যে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ঘূর্ণিঝড়টি শক্তি বৃদ্ধি করে ক্রমশ গুজরাট এবং মুম্বাইয়ের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়া দপ্তরের রবিবার ভোর পাঁচটার রিপোর্ট অনুযায়ী বর্তমানে ঝড়টি গোয়া থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে ১৩০ কিলোমিটার দূরে আছে। এছাড়া মুম্বাই দক্ষিণ থেকে দূরত্ব ৪৫০ কিলোমিটার এর কাছাকাছি। এই ঝড়ের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়তে পারে গুজরাট উপকূলে। আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার বিকেলের মধ্যেই গুজরাট উপকূলে এই ঘূর্ণিঝড় এসে পৌঁছাবে। তারপর মঙ্গলবার পোরবন্দর এলাকা দিয়ে এই ঘূর্ণিঝড় বয়ে যাবে।

Advertisement

আগামী দুদিন ধরে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হচ্ছে কেরলে। তবে এই ঘূর্ণিঝড় কেরল স্পর্শ করেনি। তবে ঝড়টি খুব শীঘ্রই পৌঁছে যাবে মুম্বাইতে। তাই আগে থাকতেই প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছে বিএমসি। তারা ইতিমধ্যেই ৫০০ জন করোনা রোগীকে সুরক্ষিত স্থানে স্থানান্তর করেছে। এছাড়া রত্নাগিরি, রায়গর, সিন্ধুদূর্গ এর মত উপকূলবর্তী এলাকায় বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী সমুদ্রতটে বাড়তি সর্তকতা জারি করেছেন।