টাউকটে ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত গোয়া, আগামীকাল গুজরাটে আছড়ে পড়তে পারে ১৮৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা বেগে

গোয়াতে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে

Advertisement

Advertisement

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাঝে চলতি মরশুমে প্রথম ঘূর্ণিঝড় টাউকটে গতকাল রাতে কর্ণাটক উপকূলে আঘাত হেনেছিল। কর্ণাটক রাজ্যের ৬ টি জেলার ৭৩ টি গ্রাম তছনছ করে এই ঝড় তার নির্দিষ্ট গতিপথ দিয়ে মহারাষ্ট্র এবং গুজরাটের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে। এই ঘূর্ণিঝড় আগের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠছে। গতকাল রাতে কর্নাটকে আস্ফালনের পর আজ দুপুরে গোয়াতে আঘাত হেনেছিল এই ঘূর্ণিঝড়। সকাল থেকেই গোয়ার বিভিন্ন প্রান্তে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়। সেইসাথে তীব্রবেগে হাওয়া বইতে থাকে।

Advertisement

আজ অর্থাৎ রবিবার বিকেলে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ানত জানিয়েছেন, “ঘূর্ণিঝড় টাউকটে ব্যাপক ক্ষতি করেছে গোয়াতে। প্রায় ৫০০ এর বেশি গাছ পড়ে গেছে। একাধিক জায়গায় বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। রাস্তায় রাস্তায় গাছ এবং বিদ্যুতের খুঁটির জন্য রাস্তা অবরুদ্ধ হয়েছে। ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ২০০ টি বাড়ি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জানা গিয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।” এছাড়া এই রাজ্যে যান চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। ব্যাহত হয়েছে ট্রেন পরিষেবা। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে যে গোয়াতে দিনভর ঝোড়ো হওয়া এবং সেইসাথে বৃষ্টি চলবে।

Advertisement

অন্যদিকে মৌসম ভবনের রিপোর্ট যথেষ্ট উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। মৌসম ভবন এর রিপোর্ট অনুযায়ী এই ঘূর্ণিঝড় আরো বেশি শক্তিশালী হয়ে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘন্টায় এই ঝড় ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে সোমবার সন্ধ্যার মধ্যে গুজরাট উপকূলে পৌঁছে যাবে। আগামীকাল সকাল থেকে রাত অব্দি গুজরাটে ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা বেগে ঝড় বইতে পারে। তারপর সেই গতিবেগ সর্বোচ্চ ১৮৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা অবধি যেতে পারে। তবে মঙ্গলবার সকাল থেকে ঝড়ের গতিবেগ হ্রাস পাবে। ইতিমধ্যে গুজরাট এবং দিউ উপকূলে কমলা সর্তকতা জারি করা হয়েছে।

Advertisement