সাইক্লোন থেকে সুপার সাইক্লোনে পরিণত হল আরব সাগরের উপর তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘টাউকটে’। আবহাওয়া দপ্তরের খবর অনুযায়ী, এই ঝড়ের গতিপথ কিছুটা পাল্টেছে। আগামী মঙ্গলবার ১৮ মে একেবারে সকাল নাগাদ এই ঝড় আছড়ে পড়বে গুজরাট এবং পার্শ্ববর্তী পাকিস্তান উপকূলে। আবহাওয়া দপ্তরের বুলেটিন বলছে, শুক্রবার রাত্রি সাড়ে ১১ টা নাগাদ লাক্ষাদ্বীপ এবং আরব সাগরের পূর্ব-মধ্য এবং দক্ষিণ-পূর্ব এলাকায় অবস্থান করছিল এই ঘূর্ণিঝড়।
বর্তমানে এই ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান কেরালার কান্নুর থেকে পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে ২৯০ কিলোমিটার দূরে এবং গুজরাটের ভেরাবলের দক্ষিণ এবং দক্ষিণ পূর্ব এলাকায় ১,০১০ কিলোমিটার দূরে। লাক্ষাদ্বীপ, কেরালা, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, গোয়া, গুজরাট এবং দক্ষিণ-পশ্চিম রাজস্থানে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রবল ঝড় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আজ থেকেই। সমুদ্র উত্তাল থাকার কারণে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে একেবারেই নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowএতক্ষণ পর্যন্ত জানা যাচ্ছিল এই ঝড়ের গতিবেগ সর্বাধিক ৮০ কিলোমিটার হতে চলেছে। কিন্তু সম্প্রতি পাওয়া রিপোর্টে জানা যাচ্ছে এই ঝড়ের গতিবেগ মোটামুটি ১৭৫ কিলোমিটার অবধি পৌঁছতে পারে। তবে গড়ে এই ঝড়ের তীব্রতা ১৬০ কিলোমিটারের কাছাকাছি থাকবে। সোমবার রাত্রি ১১.৩০ নাগাদ ঝড়ের তীব্রতা সবথেকে বেশি থাকবে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর। পাশাপাশি, গুজরাটে যখন এই ঝড় আছড়ে পড়বে তখন এই ঝড়ের গতিবেগ ১৪৫ কিলোমিটারের কাছাকাছি হতে চলেছে।
টাউকটে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ভারতের পশ্চিম উপকূলের রাজ্যগুলিতে। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি আধিকারিকদের তৎপর থাকার আদেশ দিয়েছেন। যারা নিচু এলাকায় বসবাস করেন তাদের পরিবারকে অন্যত্র দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সরকারের তরফ থেকে। কাজে নেমে পড়েছে ভারতের নৌ বাহিনী। প্রস্তুত রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দলও। তার পাশাপাশি ডুবুরি দলকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার এই ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলিকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। এই ঝড়ের সর্বাধিক প্রভাব পড়বে গুজরাটের কচ্ছ উপকূলে। গুজরাট সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, উদ্ধারকাজ সামলানোর জন্য তারা ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে দিয়েছে।