দলের সাথে প্রতিনিয়ত বাড়ছে দূরত্ব, মমতার ডাকা সভাতে অনুপস্থিত শুভেন্দু-রাজীব

Advertisement

Advertisement

দিন দিন শুভেন্দুর সাথে দূরত্ব বাড়ছে দলের। আর সাথে বেড়ে চলেছে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা। এইবার মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা মন্ত্রী সভায় দেখা গেলনা শুভেন্দু অধিকারীকে। তবে কি দলকে এড়িয়ে চলছেন শুভেন্দু? তবে কি আলাদা পথ বেঁছে নিয়েছেন তিনি? এরম নানা প্রশ্ন ঘুরছে তাকে ঘিরে।

Advertisement

 

Advertisement

তবে এটা প্রথমবার নয়। আগেরবার ভোটের আগেও দেখা গিয়েছিল একই দৃশ্য। দলের বিভিন্ন কার্যকলাপে দেখা যায়নি তাকে। বহু ক্ষেত্রে দলের সাথে মত মেলেনি তার। তবু ভোটের ময়দানে তিনি লড়েছেন তৃণমূলের যোদ্ধা হয়ে। কিন্তু এইবারের পরিস্থিতি অনেকটা আলাদা। বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের সাথে নিজের অনেকটাই দূরত্ব বাড়িয়ে নিয়েছেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। গত কয়েক মাসে বেশ অনেকবার ই দলের প্রতি ক্ষোভ উগড়াতে দেখা গিয়েছে তাকে। সম্প্রতি মেদিনীপুরের সভা থেকে এক প্রকার বিদ্রোহ ঘোষণা করে দিয়েছেন তিনি। তার বক্তব্য,”দলে আমার চলার পথ মসৃণ নয়, বাধাপ্রাপ্ত হয়েছি আমি”। অপরদিকে শুভেন্দুকে চ্যালেঞ্জ করে সভা করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলকে ও। সেই সভায় বিভিন্ন নেতা মন্ত্রীকে দেখা গিয়েছে নাম না বলে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিতে।

Advertisement

 

রাজনৈতিক মহলের ধারণা থেকে স্পষ্ট যে, দলের ওপর অনেকটাই ক্ষুব্ধ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই ক্ষুব্ধতার প্রতিফলন দেখা গিয়েছে বারংবার। তবে এইবার শুভেন্দু একা নয়, সভাতে উপস্থিত ছিলেন না মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও। সভায় উপস্থিত না থাকার কোনো কারণ জানাননি মন্ত্রী। অন্যদিকে অসুস্থতার কারণে সভায় আসেননি মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং গৌতম দেব ও।

 

সম্প্রতি মঙ্গলবার নন্দীগ্রামে সভা করেন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে নাম না করে দলের বিরুদ্ধে একাধিক বাক্যবাণ ছুঁড়তে দেখা যায় তাকে। এইদিন শুভেন্দু বলেন,” ১৩ বছর পর মনে পড়ল নন্দীগ্রামের কথা। ভোটের আগে তো এলেন, ভোটের পরে আসবেন তো।” ঘটনাচক্রে সেই দিনই নন্দীগ্রামে গিয়েছিলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। নাম না করে তাকেও দেখা গিয়েছে একাধিক কথা বলতে। এইদিন ফিরহাদ বলেন,” দলে কখনও আমিত্ব থাকেনা। এখানে আমি একা কেউ নই, আমি বড় নয়, আমরাটাই হল মূল কথা।”