“প্রণব মুখোপাধ্যায় ছিলেন আমার গুরু”, বক্তব্য বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর

প্রণব (Pranab Mukherjee) কে রাজনৈতিক গুরু মানতেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

Advertisement

Advertisement

প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় এর সাথে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) যে আস্থার সম্পর্ক ছিল তার স্পষ্ট ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে প্রণববাবুর আত্মজীবনীতে। কিন্তু কেউ জানতেন না যে শুভেন্দু প্রণব মুখোপাধ্যায়কে মনে করতেন তার রাজনৈতিক গুরু।

Advertisement

বছরের শুরুর দিনে শুক্রবার কাথিতে সভা ছিল শুভেন্দুর। ডরমিটরি মাঠের সেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে এইদিন শুভেন্দু বলেন,”প্রয়াত প্রণব মুখোপাধ্যায় (Pranab Mukherjee) ছিলেন আমার গুরুদেব। ২০০৯ সালে মহিষাদলে এসে তিনি বলেছিলেন, আমি সতীশ দা, সুশীল দার জায়গায় শুভেন্দুকে দিচ্ছি। সে মাটিতে পা দিয়ে রাজনীতি করে। শুভেন্দু মানুষের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করবেনা।” প্রণববাবু যে তাকে স্নেহ করতেন তা তার আত্মজীবনী থেকে স্পষ্ট। শুভেন্দুর সম্পর্কে যে সেখানে লেখা আছে তা বিষয়ে ও এইদিন বলেছেন বিজেপি নেতা।

Advertisement

প্রণববাবু তার আত্মজীবনীর এক স্থানে বলেছেন, রাষ্ট্রপতির নির্বাচনের সময় তৃণমূল তাকে প্রথমে সমর্থন করতে নারাজ ছিল। কিন্তু সেই সময় শুভেন্দু অধিকারী, সোমেন মিত্র দের মতো নেতারা এগিয়ে আসেন এবং তারা ক্রসভোট করবেন বুঝেই শেষে তাকে সমর্থন করে তৃণমূল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, হুইপ জারি করা যায়না রাষ্ট্রপতির ভোটের সময়। ফলে তাদের অধিকার রয়েছে স্বাধীনভাবে ভোট দেওয়ার। তবে কেন এইদিন হঠাৎ প্রণববাবুর কথা বললেন শুভেন্দু? উঠেছে রাজনৈতিক স্তরে প্রশ্ন।

Advertisement

প্রণববাবুর ব্যক্তিগত জীবন দেখলে বোঝা যায় যে তিনি ছিলে আধ্যাত্মিক প্রকৃতির মানুষ। তবে এমন ধরন তার রাজনৈতিক জীবনে প্রভাব পারেনি। তিনি সর্বদা একজন ধর্মনিরপেক্ষ নেতা হিসেবে সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। এইদিন শুভেন্দু বলেন,”আমি সনাতন হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস করি। আমি যখন সাংসদ অথবা বিধায়ক ছিলাম তখন গরীবদের গরীব হিসেবেই দেখেছি। কোনও ধর্মের ভিত্তিতে দেখিনি।

এইদিন কাথির মঞ্চ থেকে শুভেন্দু আরও বলেন ,”আমি শুনেছি সংখ্যালঘুদের কানে কি ঢালা হচ্ছে। কিন্তু তাদের বোঝা উচিৎ যে প্রধানমন্ত্রী যে সমস্ত কৃষকদের টাকা দিচ্ছেন তাদের মধ্যে ১ কোটি কৃষক সংখ্যালঘু। সব সুবিধাই দেওয়া হচ্ছে সংখ্যা লঘুদের।”