বাংলার জন্য আশীর্বাদ চাইলাম, অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক শেষে বললেন শুভেন্দু

দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে শুভেন্দুর বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ

Advertisement

Advertisement

দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে ঘন্টাখানেক বৈঠক করে এলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। জল্পনা উঠেছিল শুভেন্দু অধিকারি একা ডাক পাওয়ার কারণে হয়ত বিজেপি নেতৃত্ব তার ভূমিকা নিয়ে না খুশি। কিন্তু সেরকমটা নয়। বৈঠকের পর শুভেন্দু অধিকারী টুইট করলেন, “মাননীয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করলাম। বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছি। বাংলার জন্য আশীর্বাদ চেয়ে এসেছি।” অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, এই একই দিনে বিজেপি রাজ্য নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন দিলীপ ঘোষ। আর সেখানেই কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে এলেন শুভেন্দু অধিকারী।

Advertisement

সোমবার রাতে জরুরি তলবের পর দিল্লি গিয়ে হাই কমান্ডের সঙ্গে বৈঠক করলেন শুভেন্দু অধিকারী। গতকাল রাতেই পেয়েছিলেন ফোন। বিজেপি সূত্রে খবর ছিল দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে তার। কিন্তু তখনই প্রশ্ন দিলীপ ঘোষ নেই কেন? আর কেন শুভেন্দু অধিকারীকে ডেকে পাঠানো হয়েছে, সেই নিয়েও সন্ধিহান গেরুয়া শিবির।

Advertisement

Advertisement

 

রাজ্য বিজেপি তরফে এখনো পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি কেন এই তলব। শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন বেশ কিছুক্ষণ বৈঠক হয়েছে অমিত শাহের সঙ্গে তবে আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে কিছু জানানো হয়নি। তিনি জানিয়েছেন বাংলার জন্য আশীর্বাদ চেয়ে এসেছেন তিনি। সাথেই, তার আশ্বাস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলার জন্য আশীর্বাদ দেবেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপির একজন অন্যতম বড় মুখ হিসেবে সামনে এসেছিলেন। তার মতামত বিজেপির সদরদপ্তরে গৃহীত হয়েছিল। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে পুরনো নেতাদের কথাকে খুব একটা প্রাধান্য না দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর কথা অনুযায়ী প্রার্থী সাজিয়েছিল বিজেপি। সেই নিয়ে বিজেপির অন্দরে ক্ষোভ তো রয়েছে। তার সাথেই শুভেন্দু অধিকারীকে বিরোধী দলনেতা করা নিয়ে বিজেপির একাংশের ক্ষোভ বর্তমান। এই পেক্ষাপটে আলাদাভাবে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সাথে শুভেন্দু অধিকারীর একান্ত বৈঠক বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব এর মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করবে, এটা খুবই স্বাভাবিক। এবং এই বিষয়টি রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে বলে মতামত অভিজ্ঞ মহলের।